দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-রাত পোহালেই একুশে জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবস |তার আগে রবিবাসরীয় বিকেলে সভাস্থল পরিদর্শন করে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে গেলেন, বছরে একটাই অনুষ্ঠান হয় শহিদ স্মরণে, তাতেও অনেকের আপত্তি আছে। কর্মী-সমর্থকরা আসুন, ঝর-জল থাকলেও শহিদদের স্মরণ করুন।
সোমবার সপ্তাহ শুরুর দিনেই তৃণমূলের শহিদ দিবস। এক দিকে অফিস কাছারি, অন্যদিকে শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার। আবার এসবের মধ্যেই পালিত হবে তৃণমূলের শহিদ দিবস। তাই হাইকোর্টে নাগরিকদের অসুবিধা ও যানজট নিয়ে মামলা করেছিল বাম আইনজীবী সংগঠন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই যান নিয়ন্ত্রণের পর্যবেক্ষণ দেন হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। রবিবার সভাস্থল দেখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রায় ৩৩ বছর ধরে এই প্রোগ্রাম এখানে হয়, তার কারণ এখানে অনেকগুলো প্রাণ লুটিয়ে পড়েছিল। তাই আমাদের বছরে একটাই প্রোগ্রাম শহিদ স্মরণে আমরা এখানেই করি।’সিপিএম-র সঙ্গে সংঘাতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন দমানোর ক্ষমতা ছিল না সিপিএমের। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে গিয়ে ওরা এমন ভাবে গুলি চালায় যে, ১৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। দেড়শো জন পুলিশের গুলিতে আহত হন।’হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ না করলেও পরোক্ষভাবে সেই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় শাসক দলের প্রধানকে। সভাস্থল থেকেই তিনি বলেন, ‘এ নিয়েও অনেকের আপত্তি আছে। আমার বক্তব্য, তারা যখন নবান্ন অভিযান করেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়া, তখন আপত্তি কোথায় থাকে? আমাদের দেখে ওদেরও প্রোগ্রাম করতে হয়। কই আমরা তো ওদের দেখে প্রোগ্রাম করি না! তৃণমূলের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।’দলনেত্রী আরও বলেন, “প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন। অতিবৃষ্টি ও প্লাবনের পরেও প্রাণের টানে, শহিদ স্মরণে, তর্পণের জন্য আসেন। অনুষ্ঠান করলে তৃণমূলের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। কথায় কথায় খালি চোর, ডাকাত বলে– এদের মুখের কোনও ভাষা নেই। খালি মানুষের উপর অত্যাচার, বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচার। আমি সব রাজ্যের মানুষকে সম্মান করি। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাঁকে জেলে পুরে দিতে হবে। এসব নিয়ে যা বলার কাল বলব। ২১ জুলাই কোনও দিন বন্ধ হবে না। প্রত্যেক বছর চলবে।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal