Breaking News

‘সব বলব কিন্তু জয় বাংলা বলব না’,অভিষেকের হুঙ্কারে কী জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ ?

নিজস্ব সংবাদদাতা :-তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে এলেন না দিলীপ ঘোষ। ছিলেন খড়্গপুরে বিজেপির ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ কর্মসূচিতে। শুধু তা-ই নয়, স্পষ্ট জানিয়েও দিলেন, তিনি কোনও দিন তৃণমূলে যোগ দেবেন না। এ-ও বললেন, ‘‘সব বলব। কিন্তু জয় বাংলা বলব না।’’ ঘটনাচক্রে, তার কিছুক্ষণ আগে ধর্মতলার মঞ্চ দাঁড়িয়ে তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ‘‘২৬-এর নির্বাচনের পর ওদের দিয়ে জয় বাংলাও বলাব।’’২১-এর মঞ্চ থেকে মোদীর সভার নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘জয় মা কালী বলিয়েছি, ছাব্বিশের নির্বাচনের পর ওদের দিয়ে জয় বাংলাও বলাব।’ কিছুটা এই প্রসঙ্গেই দিলীপ ঘোষকে এবার খড়গপুরের কর্মসূচি থেকে বলতে শোনা গেল, ‘সব বলব। কিন্তু জয় বাংলা বলব না।’ একই সঙ্গে তিনি যে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার মানুষ নন, সে কথাও বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ।২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসে পাল্টা কর্মসূচি রাখে বিজেপি। এই দিন শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল উত্তরকন্যায়। সেখান থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন বিরোধী দলনেতা‌। কিন্তু আজ দিলীপকে কোথায় দেখা যাবে, তা নিয়ে মস্ত জল্পনা ছিল। ২১ জুলাইয়ে বিজেপির মঞ্চে দেখা যাবে না তৃণমূলের মঞ্চে, তা নিয়েই চলছিল জল্পনা। জল্পনা উস্কে দিয়ে দিলীপও বলেছিলেন, ‘কোনও না কোনও মঞ্চে তো দেখা যাবেই।’ কিন্তু শেষমেশ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তাঁকে দেখা গেল খড়গপুরের জনসভায়। সেখান থেকেই তিনি পরোক্ষভাবে অভিষেকের হুঙ্কারের পাল্টা জবাব দেন।সোমবার খড়্গপুরে সভার পর দিলীপ বলেন, ‘‘যারা দিলীপ ঘোষকে তৃণমূলে পাঠাচ্ছিল, তারা কি এ বার গঙ্গায় ঝাঁপ দেবে, না বটগাছের গোড়ায় গলায় দড়ি দেবে। কাল থেকে দেখুন।’’ ঘোষণামতোই সোমবার বেলা ৩টে নাগাদ খড়্গপুরের গিরি ময়দানে দিলীপের ডাকে জমায়েত হয়েছিল। সেখান থেকে দিলীপ বলেন, ‘‘তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্তদের দল। বিজেপি মাটিতে পা রেখে চলে। লড়াই চলবে। নিজের কব্জির জোর আর পদ্ম ফুলে বিশ্বাস রাখুন। জগন্নাথ মন্দির করলেই হিন্দু হওয়া যায় না।’’ধর্মতলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জগন্নাথধামের মতো দুর্গাঅঙ্গণও তৈরি করবেন তিনি। এ নিয়েও মমতাকে আক্রমণ করে দিলীপ বলেন, ‘‘ভগবানের আশীর্বাদে বা জগন্নাথের আশীর্বাদে উনি জিততে পারবেন না। বাংলার জনতা জনার্দন খুবই জাগ্রত। মন্দির করে তাঁদের বাঁকানো যাবে না। বাংলায় মন্দিরের কোনও অভাব নেই। আপনি প্রশাসন ঠিকভাবে চালান।’’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *