প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- এসএসসি-র নিয়োগবিধিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন ২০১৬ সালের বিধিতে নতুন পরীক্ষা করানোর দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা খারিজ করে দিল ২ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে মামলাকারীদের ভর্ৎসনা করে বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের মন্তব্য, “স্পেশাল লিভ পিটিশন জুয়া খেলা নয় । এই ধরনের প্র্যাকটিস বন্ধ হওয়া দরকার ।” এরপর আদালত স্পষ্ট জানায়, “আমরা এই মুহূর্তে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপ করছি না । মামলা খারিজ করা হচ্ছে ।”অযোগ্যরা নতুন পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বলে এই মামলার শুনানিতে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চ ৷ তবে বাকি অন্য কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিল উচ্চ আদালত । সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা ।
এদিন, সেই মামলার শুনানিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার জানতে চান, “আপনারা কি অযোগ্য ?” উত্তরে মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “না ৷ তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আপত্তিকর ৷ শিক্ষক হিসেবে অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর দেওয়া হয়েছে ৷ বয়সের ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তিকর বিষয় রয়েছে |”আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার মান বাড়িয়ে থাকে, তাহলে সেটি তাদের এক্তিয়ারের বাইরে কিছু করেনি । আমরা এই মুহূর্তে এই ধরনের মামলাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নই । আমাদের নির্দেশ মতো বয়েসে ছাড় পাবে শুধুমাত্র যোগ্য ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা ।” এরপর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য শীর্ষ আদালতের নির্দেশের কিছু অংশ উল্লেখ করে বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন নির্দেশের বাইরে গিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ।” তাঁর উত্তরে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, “নির্দেশের পুরো বিষয়টি আমার জানা । কারণ, আমি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বেঞ্চে ছিলাম । এই মামলা করা বন্ধ হওয়া দরকার । এটি কোনও জুয়া খেলা নয় ৷ মামলা করে নিজের ভাগ্য যাচাই করবেন এমনটা সম্ভব নয় ।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal