Breaking News

জেরক্স সেন্টারের আড়ালে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি, মিনাখাঁয় পুলিশের জালে ২!

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :-জেরক্স সেন্টারের আড়ালে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির চক্র । গত কয়েকদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর বকচোরা এলাকা থেকে এমনই অভিযোগ আসছিল পুলিশের কাছে । অবশেষে অভিযান চালিয়ে ভুয়ো আধার কার্ড চক্রের পর্দা ফাঁস হল । এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷আধার কার্ড তৈরির আড়ালে চলছিল ভুয়ো নথিপত্র বানানোর চক্র। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ওই জেরক্স সেন্টারের দুই কর্মী। তাঁদের নাম বাকিবুল্লাহ ও মাতিন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মিনাখাঁর একটি বাজার এলাকায় চলত এই জেরক্স সেন্টারটি। বাইরে থেকে দেখতে সাধারণ দোকান হলেও ভিতরে নাকি চলত তথ্য জালিয়াতির এক সুগভীর কারবার। এলাকার বহু বাসিন্দা সেখানে বিভিন্ন সরকারি নথির ফটোকপি কিংবা সংশোধনের কাজ করাতেন। সেই সুযোগেই কিছু অসাধু কর্মী ভুয়ো আধার, জন্ম শংসাপত্র, এমনকি ভোটার কার্ড তৈরির চক্র চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই দোকানে অচেনা লোকজনের আনাগোনা বাড়তে থাকে। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন এলাকার কিছু বাসিন্দা। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার সকালে আচমকা অভিযান চালায় পুলিশ। প্রথমে জেরা, পরে প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে বাকিবুল্লাহ ও মাতিনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দোকানটি আপাতত সিল করে দিয়েছে প্রশাসন।এই ঘটনায় বসিরহাট জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, জেরক্স সেন্টারটির ভিতর থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথিপত্র ও আধার সংশোধনের কাগজ উদ্ধার হয়েছে। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।সম্প্রতি, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের বাঙলানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে এক বাংলাদেশী তরুণীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ ।ধৃত ওই তরুণীর কাছ থেকে মেলে ভারতের সচিত্র পরিচয়পত্র । তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ধৃত তরুণীর আসল নাম অঙ্কিতা । অবৈধভাবে কাঁটাতার পেড়িয়ে সে এই দেশে ঢুকে স্বরূপনগরে বসবাস করছিল । স্থানীয়দের সন্দেহ এড়াতে পরিচিত এক আত্মীয়কে মা-বাবাও সাজিয়ে ছিল সে ।যদিও এত কিছুর পরও শেষ রক্ষা হয়নি । পুলিশি অভিযানে সে ও তার পরিচিত আত্মীয় ধরা পড়ে যায় ৷ এরই মধ্যে এবার মিনাখাঁয় ভুয়ো আধার কার্ড চক্রের হদিস পেল পুলিশ ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *