প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আগামী মাসেই পশ্চিমবঙ্গে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা SIR চালু করতে পারে নির্বাচন কমিশন ৷ সেই প্রেক্ষাপটে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বললেন, ‘‘ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম যেন বাদ না-যায় ৷’’ মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রশাসনিক সফরে বীরভূমে রয়েছেন ৷ এদিন বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি ৷ সেই বৈঠক থেকেই নির্বাচনী কাজে যুক্ত বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-দের উদ্দেশ্য করে এই অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷এদিনের বৈঠকে ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্বে থাকা ব্লক লেভেল অফিসারদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখবেন, আপনারা রাজ্য সরকারের চাকরি করেন।’এদিন বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিএলওদের কাছে আমার অনুরোধ, ভোটার তালিকা থেকে যাতে কারও নাম বাদ না যায় সেটা দেখার।ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর দায়িত্ব নেয় নির্বাচন কমিশন। তার আগে এবং পরে রাজ্য সরকারের হাতেই প্রশাসনিক দায়িত্ব থাকে। আপনারা রাজ্য সরকারের চাকরি করেন। কোনও মানুষকে অযথা হেনস্থা করবেন না।’ প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন যখন তৎপর তখন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য কি প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশে হুমকি নয়? মুখ্যমন্ত্রী নিজে নিচুতলার কর্মীদের ওপর সরাসরি চাপ তৈরি করলে কী ভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন তাঁরা? এ ব্যাপারে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন?বিএলও-দের উদ্দেশে তাঁর আর্জি, “আপনারা বিএলও যেসব লিস্ট করেছেন। আমার অনুরোধ থাকবে যাতে কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেন না যায় সেটা দেখার। নির্বাচন কমিশন যে তালিকা তৈরি করার করবে। যখন ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ হবে, তারপর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। তার আগে বা পরে নয়। মনে রাখবেন আপনারা রাজ্য সরকারি কর্মী। কোনও মানুষকে অযথা হেনস্তা করবেন না। দেখবেন যেন মানুষ হেনস্তা না হয়। যারা দীর্ঘদিন এই রাজ্যের ভোটার। চারদিন গেলেন, সে নেই। হয়তো বেড়াতে গিয়েছে। তা বলে তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেবেন? আপনাকে দেখতে হবে তাঁর অস্তিত্ব আছে কিনা। চারদিকে যাঁরা বাংলা ভাষায় বলছে তাঁরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। এই মানুষগুলির পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal