দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-বিয়ের চারমাসের মাথায় মর্মান্তিক ঘটনা। বধূকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে।পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নাসরিন সুলতানা ৷ তাঁর স্বামী নাজমুল হুদা মধ্যমগ্রাম ট্রাফিকের অস্থায়ী হোমগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন ৷
সোমবার রাতে অভিযুক্ত ওই হোমগার্ডের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের পরিবার ৷ তাঁর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযুক্ত নাজমুলকে আটক করে পুলিশ ৷ রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তাঁর কথাবার্তায় একাধিক অসংলগ্নতা থাকায় মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত নাজমুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ |জানা গিয়েছে, মৃতার নাম নাসরিন সুলতানা। মাস চারেক আগে নাজমুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। মধ্যমগ্রাম থানায় অস্থায়ী হোমগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন ওই যুবক। সূত্রের খবর, বিয়ের পর থেকেই অশান্তি শুরু হয় যুগলের মধ্যে। অভিযোগ, নাসরিনের উপর অত্যাচার করত নাজমুল ও তার পরিবার। মারধরও করা হত। এরই মাঝে মঙ্গলবার সকালে তরুণীর বাপের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু সংবাদ যায়। জানানো হয়, নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।খবর পেয়েই মেয়ের বাড়িতে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। খবর দেওয়া হয় থানায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতার বাপের বাড়ির দাবি, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে নাজমুলকে। তবে খুন আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।এ নিয়ে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন, “এটি খুন না নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ঘটনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে ৷ মৃতের পরিবারের লোকজন খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ সেটিও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি ৷ তদন্ত এখনও চলছে ৷ তার আগে বিশদে কিছু বলা সম্ভব নয় ৷”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal