প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ভোটার লিস্টে ‘কারচুপি’, ২ ERO ও ২ AERO-কে সাসপেন্ড করল কমিশন। বারুইপুর পূর্ব ও ময়নার ERO-কে সাসপেন্ড করল কমিশন। সাসপেন্ড করা হয়েছে বারুইপুর পূর্বের ERO দেবত্তম দত্ত চৌধুরী এবং ময়নার ERO বিপ্লব সরকারকে। পাশাপাশি সাসপেন্ড হয়েছেন বারুইপুর পূর্বের AERO তথাগত মণ্ডল ও ময়নার AERO সুদীপ্ত দাস। এবং ৩ WBCS অফিসার-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার আধিকারিক কমিশনের হয়ে কাজ করার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেননি। অনাঙ্কাখিত কিছু ব্যক্তির হাতে তাদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে নাম নথিভুক্তির সময়েও বেশ কিছু ভুল তথ্য আপলোড করেছেন বা নথিভুক্ত করেছেন। আধিকারিকদের এই ধরনের কার্যকলাপকে অপরাধমূলক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিযুক্ত মোট চারজন সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে।প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর পূর্ব এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকার কাজ তাঁদের তত্ত্বাবধানে চলছিল। বারুইপুর পূর্বের ইআরও এবং এইআরও ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল। ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ওই দুই পদে কাজ করছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই চারজন আধিকারিক ছাড়াও সুরজিৎ হালদার নামে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।নির্বাচন কমিশন থেকে যে অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে, ২ পাতার সেই অর্ডারে বলা হয়েছে, বারুইপুর পূর্ব ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে দুই জন ERO এবং দুই জন AERO সাসপেন্ড করা হয়েছে। ৩ WBCS অফিসার-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর করেছিলেন যারা, তাঁদের বিরুদ্ধে Criminal missconduct হয়েছে। যেভাবে নতুন ভোটারগুলিকে অ্যাড করা হয়েছিল, ইতিমধ্যেই সেই গাফিলতিগুলি ধরা পড়েছে। এরপর নির্বাচন কমিশন অ্যাকশন নিয়েছে। যথাযথ অ্যাকশন সকলের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal