নিজস্ব সংবাদদাতা :-নিজের মেয়ের সঙ্গেই পাশবিক কাণ্ড ঘটিয়েছিল বাবা। মেয়েকে ধর্ষণ করার পর খুন করেছিল। আসানসোলের পকসো আদালত সেই নৃশংস ঘটনায় ওই ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিল। ২০২৪ সালের মে মাসে সংঘটিত এই মর্মান্তিক ঘটনায় বিচারক সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্য প্রণবের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ শাস্তির রায় ঘোষণা করেন।মামলা চলার মাত্র এক বছর তিন মাসের মধ্যেই এই নারকীয় ঘটনার রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক ।২০২৪ সালের ১৩ মে । আসানসোলের হীরাপুর থানার নরসিংবাঁধ এলাকায় বাড়ির বিছানাতেই সকালবেলা দেহ উদ্ধার হয় এক নাবালিকার । তার মা দেখতে পান যে, ১৪ বছর বয়সি ওই কিশোরীর চোখ, কান ও নাক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল । প্রতিবেশীদের সাহায্যে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । অবাক করা বিষয় ছিল, ওই কিশোরীর মৃত্যুর পরেও তার বাবা নির্লিপ্ত ছিল । তাতেই সন্দেহ হয় পরিবারের । এরপরেই ওই কিশোরীর মা হীরাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত বাবাকে |সরকার পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানান, “এই ঘটনায় যিনি তদন্তকারী অফিসার ছিলেন, তিনি অনেক প্রমাণ জোগাড় করেছেন এই ঘটনায় । মেয়েটির দেহের যখন ময়নাতদন্ত হয়, তখন জানা যায় মেয়েটিকে দড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করা মারা হয়েছিল । খুন করার আগে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় । শুধু তাই নয়, মেয়েটির যৌনাঙ্গে যে স্যালাইভা পাওয়া যায়, তার ডিএনএ-এর সঙ্গে বাবার ডিএনএ মিলে যায় । বিছানার চাদরে পড়ে থাকা সিমেনের নমুনা নিয়ে সেটা পরীক্ষা করেও বাবার ডিএনএ পাওয়া যায় । পাশাপাশি খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত দড়িটি বাড়ির পাশে একটি ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হয় । সেটি পরীক্ষা করেও গলায় থাকা দাগের সঙ্গে মিলে যায় । এই ঘটনায় মোট ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে । সব দিক বিচার করে বিচারক বাবাকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করেন । বুধবার তাকে সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা শোনানো হয় ।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal