প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- রাজ্যের দুই ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) এবং আরও দুই এইআরও(অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)-সহ মোট চারজনকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ পালন করা হয়নি।৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন।এ বিষয়ে সময় বেঁধে দিয়ে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে আগামী সোমবার (১১ অগস্ট) বিকেল ৩টের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার সরকারি আধিকারিককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার কথা জানিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ওই চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা এবং বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন ‘নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা ইআরও) এবং দু’জন ‘সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ বা এইআরও)।সেই কথা মনে করিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে মনোজ পন্থকে আবারও চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে ইআরও, এইআরওদের সাসপেন্ড করার ব্যাপার এখনও কমিশনকে জানানো হল না কেন? তাঁদের সাসপেন্ডের বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? এই বিষয়ে আগামী ১১ তারিখ ৩ টের মধ্যে চূড়ান্ত সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্বের , এইআরওদের সাসপেন্ড করার কথা বলেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তারপর ৯৬ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য। সেই বিষয় জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে ফের চিঠি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal