Breaking News

নবান্ন অভিযানের মিছিলে জখম নির্যাতিতার মা!নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে,উঠল রেসকোর্সের পাশের অবস্থানও

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- আরজি কর মেডিকেল কলেজে গত বছর ঘটে যাওয়া এক চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার এক বছর পূর্তিতে নির্যাতিতার পরিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। এই অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জে নির্যাতিতার মা গুরুতর আহত হন, এবং পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাদের উপর অমানবিক আচরণ করেছে।তাঁকে ইতিমধ্যে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার নির্যাতিতার মা-বাবাই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তাতে যোগ দেয় বিজেপি। ধর্মতলা থেকে যে মিছিলটি নবান্নের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, সেই মিছিলে ছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। বেলা ১২টা নাগাদ মিছিল পার্কস্ট্রিট হয়ে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু পার্কস্ট্রিট মোড়েই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই সময়েই নির্যাতিতার মা আঘাত পান বলে দাবি।নবান্ন অভিযান শুরুর পরই পার্কস্ট্রিটে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ই অভিযোগ ওঠে, পুলিশ লাঠিচার্জ করার সময় নির্যাতিতার বাবা-মাকেও মারধর করে। পরে আরজি করের নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা নিজেরা জানান, মারের কথা। নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেন, ”আমার হাতের শাঁখা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মাথায় মেরে ফুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” পরবর্তী সময়ে রেসকোর্সে চত্বরে ব্যারিকেডের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। তবে নির্যাতিতার মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই অবস্থান উঠে যায়। শুভেন্দুর দাবি, কমপক্ষে ১০০ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অবশ্য এক পুলিশকর্মীও রয়েছেন বলেই দাবি। তাঁর বুকে ইটের আঘাত লেগেছে।এদিনের বিক্ষোভ শুরু হতেই নির্যাতিতার বাবা-মা বলেছিলেন, পুলিশ প্রথম থেকেই তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেছে। কার্যত চোর-পুলিশ খেলে তাঁদের নবান্ন অভিযানের জন্য আসতে হয়েছে। পরে পুলিশের উদ্দেশে নির্যাতিতার বাবার প্রশ্নও ছিল, “হাইকোর্ট আমাদের অনুমতি দিয়েছে, তাহলে আটকাচ্ছেন কেন?” তবে পুলিশ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে। পাশাপাশি এও জানায়, তাঁদের একাধিক অফিসারও আহত। এদিকে, সাঁতরাগাছিতেও ব্যাপক উত্তেজনা। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগনোর চেষ্টা করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে জলের বোতল, চুড়ি ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে জুতো দেখান।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *