দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- প্রবল বর্ষণে ফের বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মাত্র কয়েকদিন আগে চালু হওয়া এই সড়ক আবারও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শনিবার ভোরে ২৯ মাইল এলাকায় তিস্তা নদীতে ভেসে যায় রাস্তার একটি বড় অংশ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসন দ্রুত সড়কটি সিল করে দেয় |শ্রাবণ মাসের শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি-সহ পার্বত্য জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলছে। সিকিমেও অতি ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা বিপর্যস্ত। জনজীবন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ধসে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সিকিমের একাধিক জায়গায় ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক। দার্জিলিং জেলার একাধিক জায়গাতেও ধস নেমেছে জাতীয় সড়কে। চলতি সপ্তাহেই শিলিগুড়ি-সিকিম জাতীয় সড়ক বন্ধ ছিল। নতুন করে সেটি চালু পরে ফের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে কোনও জায়গায় জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ। কোথাও আবার একদিক দিয়ে যাতায়াত করছে গাড়ি।প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ে টানা ভারী বর্ষণে মাটি ভিজে দুর্বল হয়ে পড়ে সড়কের ভিত্তি। ভোরবেলা তিস্তায় জলস্তর হঠাৎ বেড়ে গেলে সেই স্রোত রাস্তার অংশবিশেষ ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড জরুরি মেরামতির প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগতে পারে।এই সড়কটি উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে প্রধান পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের পথ। তাই এর বন্ধ হয়ে যাওয়া কার্যত জীবনযাত্রাকে অচল করে দিয়েছে। চারদিন বন্ধ থাকার পর মাত্র বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাড়ে ছ’টায় আংশিকভাবে চলাচলের অনুমতি মিলেছিল এই সড়কে। কিন্তু শুক্রবার বিরিকদাড়ায় ধস নামায় দিনের মধ্যে দুইবার সড়ক বন্ধ রাখতে হয়। আজকের বিপর্যয়ের ফলে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল এই লাইফলাইন। জানা গিয়েছে, কালিম্পংয়ে শুক্রবার রাতে প্রায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হওয়ায় ধসের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। আজ সকালে ধস নামায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে মিরিক রোড, ফলে শিলিগুড়ি-মিরিক সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পাহাড়-সমতল জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal