দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠকে কমিশনের নিরপেক্ষতার দাবি তুলল বাংলার শাসকদল তৃণমূল। শনিবার কার্যালয়ে বৈঠকে সামান্য অশান্তির খবরও মিলেছে। যদিও দিনশেষে তৃণমূলের দাবি একটাই, কাউকে ভোটাধিকার থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। তৃণমূলের তরফে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ পার্থ ভৌমিক-সহ ৩ জন। কংগ্রেস ও বিজেপির তরফেও তিনজন করে প্রতিনিধি যান। সিপিএমের ২ প্রতিনিধি ছিলেন বৈঠকে। এদিন কংগ্রেস বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে এসআইআর-এর বিরোধিতা করেছে। প্রতিনিধিদের গলায় ছিল ‘নো এসআইআর’ প্ল্যাকার্ড |মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে (CEO) হওয়া সেই বৈঠক নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় তৃণমূল। বৈঠক শেষে অরূপ বিশ্বাসের স্পষ্ট কথা, “আমরা আমাদের কথা বলেছি। তবে বৈঠকে সন্তুষ্ট নই। ১২০০-র বেশি একটা বুথে ভোটার থাকবে না, ইলেকশন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে ১২০০ বেশি হবে না মানে তাই বলে ভোটারদের দূরেও পাঠানো যাবে না।বুথ বিন্যাস ও বিভিন্ন ইস্যুতে এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে মাঝে মধ্যেই বাদানুবাদ হচ্ছিল বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। বুথ বিন্যাস নিয়ে সিইও অফিসে পাঠানো ডিইও অর্থাৎ ডিএম-দের রিপোর্টকে জালি বলে ব্যাখ্যা দেয় বিজেপি। তাদের কথা, ২৪ জন ডিইও রিপোর্ট পাঠিয়ে বলেছে যে কোনও দলের নাকি কোনও বিরোধিতা নেই। এটা একেবারে জালিয়াতি। বিজেপির শিশির বাজোরিয়া বলেন, “আমাদের অবজেকশন রয়েছে। ডিইওরা কীভাবে এমন রিপোর্ট দিল! ২৪ জন ডিইওকেই শোকজ করা হোক। তারা ৪২০ মতো কাজ করেছেন।”
বামেরাও বুথ বিন্যাস নিয়ে ডিইও-দের পাঠানো রিপোর্ট নিয়ে সরব হন।অন্যদিকে, বৈঠকে কংগ্রেস নেতারা বিধান ভবনে বিজেপির তাণ্ডব ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রসঙ্গ তোলে। দাবি করা হয়, দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। প্রসঙ্গত, এদিন বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে নো এসআইআর প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসেন কংগ্রেস নেতারা। যা নিয়ে বিজেপি আপত্তি জানায় বিজেপি।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal