প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলা খারিজ করে দিল আলিপুর আদালত। পাশাপাশি রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নির্দিষ্ট যে একটি আর্জি ছিল, সেটিও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
রত্নার বিরুদ্ধে তোলা কোনও অভিযোগই আদালতে প্রমাণ করতে পারেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। সেই প্রেক্ষিতেই এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ওদিকে রত্না আদালতের কাছে স্বামীর সঙ্গে থাকার যে আবেদন করেছিলেন তাও খারিজ হয়ে গেছে। অর্থাৎ ডিভোর্স না হলেও একসঙ্গে থাকতে পারবেন না তাঁরা।এর আগে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি আগস্ট ২০২৫-এর মধ্যে সমাপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল এবং রত্নার পক্ষের বাকি পাঁচজন সাক্ষীরও বয়ান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল। মামলাটি ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর আলিপুর আদালতে দায়ের হয়েছিল।শুক্রবার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি দীর্ঘ আট বছর ধরে যে লড়াইটা করেছিলাম আজ তার জয় হল। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের অনেক সময় ক্ষমতার কাছে হেরে যেতে হয়। আমি সব নারীর হয়ে এই জয় পেলাম।”বিবাহবিচ্ছেদের মামলা খারিজ হলেও বৈশাখীর সঙ্গে শোভনের থাকতে বাধা নেই। কারণ রত্নার একত্রবাসের আর্জিতে সাড়া দেয়নি আদালত। ফলে ‘বান্ধবী’র সঙ্গেই থাকতে পারবেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। কেন বিবাহবিচ্ছেদ মামলা খারিজ করলেন বিচারক? রত্নার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি শোভনের আইনজীবী। শোভন আইনত স্বামী থাকলেও একসঙ্গে থাকতে পারবেন না রত্না। তবুও এই রায়কে জয় হিসেবেই মনে করছেন। আদালত চত্বরেই সাংবাদিকদের তিনি জানান,’গত ৮ বছর ধরে লড়াই করছি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ক্ষমতার কাছে মেয়েদের হেরে যেতে হয়। এই জয় সব নারীর’।শোভন-রত্নার পুত্র ঋষি চট্টোপাধ্যায়ও এই রায় শুনে খুশি হয়েছেন। তিনি আবার এও চান, বাবা তাঁদের কাছে ফিরে আসুন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”এখনও কিছু খারাপ হয়নি, দেরি হয়নি। বাবা ফিরে এলে আমরা সব ঠিক করে নেব।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal