প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ কেন খুলে ফেলা হল, তার ব্যাখ্যা দিল ভারতীয় সেনা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ধর্মতলার ভাঙা মঞ্চে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠান করার জন্য তৃণমূলকে দু’দিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও প্রায় এক মাস ধরে সেখানে মঞ্চ বাঁধা ছিল। তাই খোলা হয়েছে।মঞ্চ খোলার খবর ছড়াতেই এদিন মেয়ো রোডের ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, বিজেপির কথাতেই এ কাজ করেছে সেনা বাহিনী। তাঁর কথায়, ‘প্রায় ২০০ সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ওঁদের উদ্দেশে বলি, আমাকে দেখে পালাচ্ছেন কেন? আমি আপনাদের বিরুদ্ধে নই। আপনাদের জন্য গর্বিত। এটা তো প্রতিরক্ষা মন্ত্রী করেছেন, বিজেপি করেছে। ওঁরা রাজনৈতিক উদ্দেশে নিয়ে গায়ের জোরে তৃণমূলের মঞ্চ ভেঙে দিতে চাইছে। পিছে মে কেয়া হ্যাঁয়? কৌন ছুপা রুস্তম”। হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, “বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে কেউ ছেলেখেলা করলে চুপ করে বসে থাকবে না বাংলা।”মেয়ো রোডের মঞ্চ খোলা নিয়ে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সিপিআরও গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারির দাবি, “এখানে ৩ দিনের বেশি কর্মসূচি করতে হলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতি নিতে হয়। দু’দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ওই মঞ্চ এক মাস ধরে রেখে দেওয়া হয়। আয়োজকদের কাছে মঞ্চ খোলার আবেদন জানানো হলেও খোলা হয়নি। কলকাতা পুলিশকে জানিয়েই সেনার তরফে মঞ্চ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ঘটনাস্থল থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মমতা। জানান, আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত স্তরে তৃণমূলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন। এর পাশাপাশি ‘ভাষা আন্দোলনে’র মঞ্চ সরিয়ে রানি রাসমণি রোডে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানালেন। মঙ্গলবার থেকে সেখানেই চলবে ধরনা।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal