প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- শেষপর্যন্ত কৃষ্ণনগর খুন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিংকে। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল দেশরাজ। তাকে গ্রেফতারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিল কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ। পুলিশের তিনটি দল টানা ৭ দিন ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজে বেড়িয়েছিল দেশরাজকে। শেষ পর্যন্ত পাকড়াও করতে পেরেছে তাকে।সোমবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত এলাকায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাঁকে পাকড়াও করে রাজ্য পুলিশের বিশেষ টিম। ট্রান্সজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে কৃষ্ণনগরের কোতওয়ালি থানায়। খুন
গত সোমবার কৃষ্ণনগরে চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, প্রেমিকা সম্পর্ক ভাঙতে চাইলে দেশরাজ হঠাৎই মেয়েটির বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়ে খুন করে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। অনুমান করা হয়েছিল, দেশরাজ উত্তরপ্রদেশ বা নেপাল সীমান্তে আত্মগোপন করতে পারে। সেই সূত্র ধরে একাধিক দল পাঠানো হয়।রবিবার। গুজরাতের জামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে। জেরায় তিনি স্বীকার করেন, খুনের পর ভাগ্নেকে নিরাপদ আশ্রয় পেতে সাহায্য করেছিলেন। তার তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ দেশরাজের খোঁজ পায়। জানা যায়, তিনি নেপালে পালানোর ছক কষেছিলেন। কিন্তু সীমান্তে পৌঁছনোর আগেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপি অমরনাথ জানান, ‘ছাত্রী হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তকে ধরতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করেছে। ধৃতের মামা কুলদীপের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে দ্রুত অভিযান চালানো হয়। শেষমেশ দেশরাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।’ রাজ্য পুলিশের এই সাফল্যে স্বস্তি পেয়েছে নিহত ছাত্রীর পরিবার।পুলিশ সূত্রের খবর কৃষ্ণনগরের কলেজ ছাত্রী ঈশিতা খুনে দেশরাজ একাই জড়িত না আরও কেউ ছিল- তা খতিয়ে দেখা হবে। সূত্রের খবর দেশরাজের দুই আত্মীয় মঙ্গল সিং ও দঙ্গল সিং খুন-সহ প্রায় ৪০টি অভিযোগে জেলে ছিল। সম্প্রতি তারা ছাড়া পেয়েছে। দেশরাজের এক খুড়তুতো ভাই নিতিন সিং-এর সঙ্গেও ঘনিষ্টতা ছিল অভিযুক্তের। তারা এরাও খুনের ঘটনায় জড়িত কিনা বা পরিকল্পনা করেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal