নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন ভারতীয় সেনা সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে আপত্তি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ব্রাত্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তিনি। একে একে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন অন্য বিজেপি বিধায়কেরা। অধিবেশনে হইহট্টগোল শুরু হয়। বার বার সতর্ক করার পরেও পরিস্থিতি না বদলানোয় শুভেন্দুকে এই অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই অধিবেশনকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়কেরা।পূর্বঘোষণা মতো বিধানসভায় মঙ্গলবার পেশ হল বাংলা ও বাঙালি ‘হেনস্তা’ বিরোধী প্রস্তাব। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই প্রস্তাব পেশ করতে গিয়ে তুলে ধরেন দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের শিশুর উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায় বিজেপি বিধায়করা ‘আহা রে’ বলে কটাক্ষ শুরু করেন। এরপর ওঠে মেয়ো রোডের তৃণমূলের মঞ্চ ভাঙা প্রসঙ্গ। বিধায়ক তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “গতকাল সেনা যখন তৃণমূলের মঞ্চ ভেঙে দিল, ১৯৭১ -এর পাকিস্তানি সেনার কথা মনে পড়ছিল। যেভাবে তারা বাংলাদেশে ঢুকে গুলি চালিয়েছিল।” এতেই ক্ষেপে যায় শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়করা |জানা যায়, বিজেপি বিধায়করা চিৎকার চেঁচামেচি, হট্টগোল জুড়ে দেন। পরিস্থিতি সামলাতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় উঠে দাঁড়ান। বারবার সতর্ক করেন। তাতেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বের করে দেওয়ার জন্য মার্শাল ডাকা হয়। এরপরই ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “অরূপ বিশ্বাসের কথায় অফিসিয়াল প্রস্তাব না এনে বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করেছেন। এটা অন্যায়।” শুভেন্দুর দাবি, ব্রাত্য বসু ভারতীয় সেনাকে অপমান করেছেন। শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে অধিবেশন ওয়াকআউট করে বিজেপি। দলীয় বিধায়কদের নিয়ে অধিবেশনকক্ষের বাইরে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দু। বিধানসভার বাইরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। শুভেন্দুর দাবি, ‘‘মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে স্পিকার আমাকে সাসপেন্ড করেছেন। আমি সেনাবাহিনীর সম্মান রক্ষার জন্য সাসপেন্ড হয়েছি। তাই আমি গর্বিত।’’ উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে পাঁচ বার সাসপেন্ড হলেন শুভেন্দু।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal