প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- ধর্মতলার ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ ভাঙা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। মঙ্গলবারের বিধানসভা অধিবেশনে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিজেপি শাসিত রাজ্যে আক্রমণ নিয়ে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় প্রবল হইচই । সেই বিতর্কের প্রতিধ্বনি বুধবার আরও তীব্র হল, এই নিয়ে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং ও দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেওয়ায় । অর্জুনের বিস্ফোরক বক্তব্য, “ব্রাত্য বসুকে পেটানো দরকার ।” আর দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভারতীয় সেনা দেশের গর্ব । তাঁদের অপমান মানে দেশকেই অপমান করা ।”ব্রাত্য বসুর মন্তব্য ছিল – সোমবার সেনা যখন তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল তখন তাঁর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকা শহরে পাক সেনাবাহিনীর গুলি করে হত্যার ঘটনার কথা মনে পড়েছিল। এই মন্তব্যকে বিজেপি ভারতীয় সেনা-বিরোধী বলেই মনে করছে। দাবি, আদতে পাক সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার তুলনা করেছেন তিনি যা অপমানজনক। এই প্রেক্ষিতেই অর্জুন সিং বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।বিজেপি নেতার সাফ কথা, ব্রাত্য বসু এবং তাঁর মতো লোকেরা আদতে দেশদ্রোহী। এদের পেটানো দরকার! অর্জুন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ”রাজ্যের একজন মন্ত্রী কীভাবে ভারতবর্ষের তুলনা বাংলাদেশের সঙ্গে করে? আমি বিধানসভায় ছিলাম না বলে। ব্রাত্য বসুকে পেটানো দরকার ছিল।” বিষয়টি নিয়ে সরব হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ভারতীয় সেনার হয়ে কথা বলায় নাকি তাঁকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও এতকিছুর পরও নিজের বক্তব্যে অনড় ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যা হয়েছে তা ভুলে যাওয়া যায় না। ইতিহাসকে মুছে দেওয়া যায় না। তাঁর কথায়, তিনি পাকিস্তান সেনাকে অপমান করেছেন, আবার এই প্রসঙ্গে উঠলে একই কথা বলবেন।এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলছেন, ”সেনার সঙ্গে বাংলার রাজনৈতিক দল, সরকার ঝগড়া করছিল, এখন পুলিশও করছে। এতে কার লাভ হবে? পশ্চিমবঙ্গ কি ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাবে নাকি? এই করতে গিয়ে তৃণমূল এবং এখানকার সরকার দেশবিরোধী হয়ে যাচ্ছে।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal