প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিধানসভায় হেনস্তার অভিযোগ। ‘অসুস্থ’ বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং বঙ্কিম ঘোষ। তাঁদের দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন জে পি নাড্ডার।বাংলা ভাষার মর্যাদারক্ষার জন্য ডাকা বিশেষ অধিবেশন ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ৷ অধিবেশন কক্ষে শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান-তরজায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷ সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির দুই বিধায়ক শংকর ঘোষ, বঙ্কিম ঘোষ ও অগ্নিমিত্রা পালকে ৷ মার্শালদের দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকরকে ৷ কিন্তু শংকরকে বের করতে গিয়ে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয় ৷ অধিবেশন কক্ষের বাইরে মেঝেতে পড়ে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক ৷ অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ মুহূর্তের মধ্যে বিতর্কের জল গড়ায় দিল্লি পর্যন্ত ৷ কী হয়েছে, তা নিয়ে খোঁজ নেন স্বয়ং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ৷ বিস্তারিত জানতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে ছবি-ভিডিয়োও তিনি চেয়ে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দেন, “ওয়ান টু থ্রি ফোর, তৃণমূলের সবাই চোর ৷” জবাবে শাসক শিবির থেকে স্লোগান ওঠে, “মোদি চোর, গদি ছোড় ৷” শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে এই তরজা যখন তুঙ্গে, তখন হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, “আপনারা যদি একতরফা স্লোগান দেন, জনগণই আপনাদের ধাক্কা দিয়ে বিধানসভায় জিরো করে দেবে ।”এখানেই না থেমে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলা ভাষার অপমান মানুষ মেনে নেবে না । বিজেপি বাংলার ইতিহাস জানে না, স্বাধীনতা সংগ্রামে এদের অস্তিত্বই ছিল না ।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান উদ্ধৃত করে তিনি বার্তা দেন, “বাংলার মাটি, বাংলার জল – এই ইতিহাস কেউ মুছতে পারবে না ।”তাঁর ভাষণের মাঝেই বিজেপি শিবির থেকে হট্টগোল বাড়তে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগেন, “এরা দেশের সবচেয়ে বড় ব্রোকার পার্টি। দেশ বিক্রি করছে, ভোট কারচুপি করছে, লজ্জা করে না।” অন্যদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অনুরোধ করলেও কোনও কাজ হয়নি। শেষমেশ শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম ঘোষ ও অগ্নিমিত্রা পালকে সাসপেন্ড করা হয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal