দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-পুজোর আগে মোদীর বড় উপহার |বাংলার দেবীপক্ষের কথা মাথায় রেখেই নয়া জিএসটি কাঠামো কার্যকরের দিনক্ষণ ঠিক করেছে মোদী সরকার | কলকাতায় জাতীয় গ্রন্থাগারের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভাষা ভবনে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন |৫৬-তম GST কাউন্সিলের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পণ্য ও পরিষেবা কর হারে পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন। তারপর এই প্রথম তাঁর কলকাতা সফর। আগামী ২২ তারিখ থেকে কোর কাঠামোয় নতুন এই হার কার্যকর হতে চলেছে।এদিন তিনি বলেন, ‘আমাকে অনেকেই একাধিক তারিখ প্রস্তাব করেছিল। কেউ বলেছিলেন, ১০ তারিখ থেকে করুন। কেউ বলেছিলেন ১৫ তারিখ থেকে কার্যকর করুন। কিন্তু আমি বলেছিলাম, দাঁড়ান। বাংলায় পুজো কবে থেকে শুরু হচ্ছে? পিতৃপক্ষের পর দিন থেকে। সুতরাং নতুন জিএসটি প্রথম শুভ দিন হবে নবরাত্রির প্রথম দিন। অর্থাৎ মহালয়ার পরের দিন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেপথ্যে বাংলার একটা প্রভাব রয়েছে।’ নতুন কাঠামোয় থাকছে ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ কর। বাদ পড়েছে ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ হারের কর। যার জেরে আগে যে সকল পণ্য ১২শতাংশ করের আওতায় ছিল, তা নেমে এসেছে ৫ শতাংশের হারে। যেগুলি ২৮ শতাংশ কর কাঠামোর অন্তর্গত ছিল সেগুলি নেমে এসেছে ১৮ শতাংশে। এছাড়াও আরও একটি নতুন কর কাঠামো এনেছে কেন্দ্র। নাম দিয়েছে ‘সিন ট্যাক্স’| বিভিন্ন বিলাসবহুল সামগ্রী এবং কিছু ক্ষেত্রে তামাকজাত দ্রব্যকে এই কাঠামোর অন্তর্গত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।এই দিন বাংলার একাধিক শিল্পের উন্নতি নিয়েও কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। তাঁর কথায়, জিএসটির নতুন হারের ফলে শান্তিনিকেতনের কুটিরশিল্প, বাঁকুড়ার টেরাকোটা শিল্প, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার মাদুর ও ছৌ মুখোশ তৈরির শিল্প উপকৃত হবে। এছাড়াও নদীয়ার তাঁত শিল্প, বর্ধমানের শোলার শিল্প তো আছেই। সবেতেই কর ছাড় পাবেন শিল্পী তথা কারিগররা। এছাড়াও মালদা-মুর্শিদাবাদের আম, নকশি কাঁথার শিল্প দার্জিলিঙের চা শিল্পের কথা উল্লেখ করতেও ভোলেননি তিনি। তাঁর কথায়, সমাজের সব শ্রেণির মানুষই জিএসটি দিয়ে থাকেন। তাই এই কর ব্যবস্থায় উপকৃত হবেন সব স্তরের মানুষরাই।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal