নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজোতে উপস্থিত থেকে তিনি ‘সোনার বাংলা’ গড়ার বার্তা দেন। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামও। এই প্রসঙ্গে অভিষেকের পাল্টা প্রশ্ন, “সোনার বাংলা গড়তে চাইলে আগে বাংলার প্রাপ্য টাকা দিন। কী কারণে সেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে, তার জবাব দিতে হবে কেন্দ্রকে।”ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ তথা বিজেপিকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ২০১৯ সালের সেই ঘটনার জন্য বিদ্যাসাগরের মূর্তির নীচে দাঁড়িয়ে অমিত শাহের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলেও নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক |উল্লেখ্য, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৫ তম জন্মবার্ষিকীতে বিদ্যাসাগর কলেজে গিয়ে তাঁর মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন অভিষেক ৷ কিন্তু, অমিত শাহ পুজোর উদ্বোধনে কলকাতায় এসেও, কেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকীতে তাঁর বাড়ি অথবা নামাঙ্কিত কলেজে এসে কেন শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷এ দিন অভিষেক বলেন, “আমি শুনলাম অমিত শাহ এখান থেকে ১০ মিনিট দূরে প্যান্ডেল উদ্বোধন করতে এসেছেন ৷ কিন্তু, ওঁর একবারও মনে হল না, বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তীতে এখানে এসে শ্রদ্ধা জানাতে ৷ আসলে এরা বরাবরই বাংলা বিরোধী ৷ যতদিন থাকবে বাংলার বিরোধিতা করে যাবে ৷ এটাই এদের মানসিকতা ৷”উল্লেখ্য, এ দিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, “২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে এমন একটা সরকারকে জিতিয়ে নিয়ে আসুন, যাঁরা সোনার বাংলা গড়বে ৷” যার জবাবে অভিষেক বলেন, “অমিত শাহ বলছেন সোনার বাংলা বানাবেন ৷ ওনার কাছে আমার প্রশ্ন, এই যে বিহারে রাস্তা ধসে যাচ্ছে, উনি কি সোনার বিহার বানাতে পেরেছেন ? বাংলা থেকে তো এত টাকা নিয়ে যাচ্ছেন ৷ সেই টাকা নিশ্চই গুজরাত, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে খরচ করছেন ৷ তো আপনারা কি সোনার গুজরাত, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে বানাতে পেরেছেন ?”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal