নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা:- বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার রেশ এখনও কাটেনি ৷ এর মধ্যে ফের আক্রান্ত হলেন বিজেপি বিধায়ক ৷ মঙ্গলবার কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ কুমার ওরাওঁ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে স্থানীয়রা তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ৷ বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই চক্রান্ত করে তাঁকে আক্রমণ করেছে ৷ ত্রাণ বিলি করতে দেয়নি ৷স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ মনোজ ওরাওঁ ত্রাণ নিয়ে এলাকায় পৌঁছতেই কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক প্রশ্ন তোলেন, সরকার সবই দিচ্ছে, দুই দিন পর তিনি কেন এসেছেন? এরপরই এলাকায় থাকা তৃণমূল কর্মীরা বিধায়কে ঘিরে ধরেন। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। মনোজ ওরাওঁয়ের গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। বিধায়কের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন। পরে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিধায়ক।ঘটনা প্রসঙ্গে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম গতকাল যেই ঘটনা ঘটেছে তা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আজ আমার যেখানে ত্রাণ দিতে গিয়েছিলাম, সেটি ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। কিন্তু আচমকা কিছু বহিরাগত, যারা তৃণমূল কর্মী, তাঁরা এসে হামলা চালায় আমাদের মহিলা কর্মীদের ওপর। পেছন থেকে ঢিল মেরে ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাঁচ। চার জন মহিলা আহত। সেন্ট্রাল ফোর্সকে আঘাত করা হয়। এসব মানুষ দেখছেন। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে ধুয়ে-মুছে সাফ করবে রাজ্যের মানুষ।’কুমারগ্রামের তৃণমূল নেতা কাঞ্চন সরকার বলেন, ‘তৃণমূলের কেউ বাধা দেয়নি ত্রাণ দিতে। যখন জলের মধ্যে সাধারণ মানুষকে তৃণমূলের বিধায়ক, নেতা, কর্মীরা ত্রাণ বিলি করছিল তখন মনোজ ওরাওঁ কোথায় ছিলেন? এখন সব ঠিক হতেই উনি রাজনীতি করতে এসেছেন।’ গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে কুমারগ্রাম থানার আইসি বলেন, ‘দু’পক্ষের কথা শুনেছি। সবটাই তদন্ত করে দেখা হবে।’গতকালই নাগরাকাটায় ত্রাণ সামগ্রী দিতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে আক্রান্ত হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ৷ হামলাকারীরা তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব ৷ এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ৷ সাংসদ খগেন মুর্মু এখন শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ এদিন তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal