দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা:- নাগরাকাটার বিধ্বংসী বন্যায় কেবল জনজীবন নয়, ক্ষতিগ্রস্ত ডুয়ার্সের চা-বাগান | এশিয়ার বৃহত্তম চ্যাংমারি চা-বাগানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই বন্যায় । ১৮০০ হেক্টরের ওই চা-বাগানে ৫-৬ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে । সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নাগরাকাটার ১৬০০ হেক্টরের চ্যাংমারি টি এস্টেটে। সেখানে ডায়না নদীর জল ঢুকে ফ্যাক্টরিতে রাখা ৬০ হাজার কেজি তৈরি চা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। ডুয়ার্সের বিভিন্ন বাগানে ভুটান থেকে আসা জলে মিশে আসছে ডলোমাইট। চা-বাগান মালিক সংগঠনের দাবি, প্রাথমিকভাবে ডুয়ার্সের কয়েকটি চা-বাগানেরই ক্ষতি প্রায় ৯০-১০০ কোটি টাকা । ৫০০-৭০০ হেক্টর চা-বাগান নষ্ট হয়েছে । এমনকি তৈরি চা বন্যায় ভেসে গিয়েছে । পাশাপাশি বন্যার জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে চায়ের কাঁচা পাতা । তাই এই পরিস্থিতিতে উত্তরের বৃহৎ শিল্পকে বাঁচানোর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন চা-বাগান মালিক সংগঠনগুলি ।ক্ষতিগ্রস্ত চা-বাগানে নতুন করে চা-গাছ লাগিয়ে বাগান করতে সময় লাগবে প্রায় ৩-৪ বছর । এমন অবস্থায় কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না চা-বাগান মালিকরা । প্রাথমিকভাবে কয়েকটি চা-বাগানের হিসেব করেছে মালিকপক্ষ । তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের । ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার চা-বাগানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বের করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ ।
প্রবল বৃষ্টিপাত, ধস এবং ভুটান থেকে আসা জলবাহী পলি— এই ত্রিধারায় চা বাগানগুলির যে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হল, তা কাটিয়ে উঠতে সময় তো লাগবেই, তবে তা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয়ে শ্রমিক থেকে মালিকপক্ষ, সকলেই।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal