নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা:- বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পূর্ণ হলে, পশ্চিমবঙ্গ আরও ভালো ভাবে করতে হবে। বুধবার রাজারহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক থেকে শুরু করে এডিএম ও ওসি ইলেকশন, ইআরও, এইআরও , সুপারভাইজার ও সিস্টেম ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ম্যানেজারদের সঙ্গে বৈঠক করে এই বার্তাই দিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। এ দিন সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, ডিজি আইটি সীমা খান্না, সেক্রেটারি এস বি জোশি, ডেপুটি সেক্রেটারি অভিনব আগরওয়াল কে সঙ্গে নিয়ে রাজারহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বৈঠক করেন।রাজারহাটে সেই বৈঠকের সময় ভবনের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমরা ভারতবর্ষের নাগরিক। আমাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবেন না প্লিজ!’বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল, অরিন্দম নিয়োগী-সহ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে একদিকে SIR প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। আবার অন্যদিকে ২০০২ সালের SIR পরবর্তী ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার ম্যাপিং নিয়ে ও আলোচনা হয়। পাশাপশি এ দিন বিশেষ করে বিএলও-দের প্রশিক্ষণ থেকে নিয়ে নিয়োগ কোন পর্যায় রয়েছে সেটা জানতে চান রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। বৈঠকে বিএলও দের সমস্যার কথা ও উঠে আসে। যেখনে বিশেষ করে শিক্ষক দের পক্ষ থেকে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।বুধবার রাজারহাটে সত্যজিৎ রায় ভবনে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বৈঠর শুরুর আগেই যাত্রাগাছি, গৌরাঙ্গনগর, বাগুইআটি এলাকার বাসিন্দারা প্ল্যাকার্ড হাতে ভবনের মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা মূলত মতুয়া সম্প্রদায়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। হাতে ভোটার, আধার কার্ড নিয়েই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তবে তা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভই ছিল। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা ভারতের বাসিন্দা। আমাদের সবকিছুই আছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতে রয়েছি। আমাদের নাম বাদ দেবেন না।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal