দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা:-মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়েছিল বিজেপিশাসিত রাজ্য ত্রিপুরায়। আজ, বুধবার ত্রিপুরা গিয়েছিলেন ছয় সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কিন্তু আগরতলা বিমানবন্দরেই তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে আটকানো হয় বলে অভিযোগ | প্রিপেড ট্যাক্সিও ধরতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে প্রবল ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। “সেরকম হলে আমি যাব, দেখি কার কত দম।” উত্তরবঙ্গ সফর শেষে দমদম বিমানবন্দরে নেমে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী|বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনের পর বুধবার কলকাতা ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা বিমানবন্দরে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগেন। তখনই উঠে আসে ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ। ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “শুধুমাত্র ৫ জনের টিম পাঠিয়েছি। বিমানবন্দরে আটকে দিয়েছে। আমাদের কর্মীরা বাইক নিয়ে এসেছিলেন প্রতিনিধিদের নিয়ে যেতে। কিন্তু, তাতেও যেতে দেওয়া হয়নি। তারপর আমি বলি, হেঁটে যাও। তাতেও যদি বাধা দেয়, আমি নিজে যাব। আমি দেখব, ওদের কত স্পর্ধা।”এরপরই তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় অভিষেকের গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। পাথর ছুড়েছিল। দোলা সেন, সুস্মিতা দেবের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে কি সব মাফ?” প্রসঙ্গত, এদিন আড়াই ঘণ্টা পর তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিমানবন্দর থেকে দলীয় অফিসে যেতে দেওয়া হয়।
এদিকে, পরের সপ্তাহে আবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, “ত্রাণের কাজ যতদূর সম্ভব করে দিয়েছি। তবে ১৫ দিনের মধ্যে যে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছি, তার অ্যারেঞ্জমেন্টের জন্য আবার আগামী সপ্তাহে যাব।” এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিহারে নির্বাচন আছে বলে ছটপুজোয় বিমানের ভাড়ায় ছাড় দিয়েছে। এতে আমি খুশি। আমার কোনও দুঃখ নেই। কিন্তু, একটা দুর্যোগ হয়ে যাওয়ার পরও বাগডোগরা থেকে যাঁরা কলকাতা আসছেন, তাঁদের বিমানের ভাড়া ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে আজকে। এটা কি বৈষম্য নয়?”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal