প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা:- পুজোর পরেই কেন বেছে নেওয়া হল এসআইআর-এর সময়? একদিকে মানুষের দুর্ভোগ, আর এই সময়ই এসআইআর-এর নাম করে কেন পুজোর সময় বেছে নেওয়া হয়েছে? গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এরইমধ্যে SIR-এর কাজ খতিয়ে দেখতে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বে বাংলায় এসেছিল নির্বাচন কমিশনের বিশেষ টিম। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অনান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও হয়। তারপর থেকেই ১৫ অক্টোবরের পর বাংলায় SIR হতে পারে বলে জোর জল্পনা শোনা যাচ্ছে। সেই জল্পনা শুরুর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার কার্যত ফুঁসে উঠলেন মমতা।বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর সাফ হুঁশিয়ারি, ”তাড়াহুড়োয় কাজ করতে গিয়ে যদি কোনও সম্প্রদায়ের কোনও নাগরিকের নাম বাতিল হয়, তাহলে বলব, আগুন নিয়ে খেলবেন না। এখন বাংলায় দুর্যোগ পরিস্থিতি। বন্যায় মানুষের ঘরবাড়ি, কাগজপত্র সব ভেসে গিয়েছে। কোথা থেকে মানুষ এখন কাগজ দেবে? কেউ কেউ আবার উৎসবের ছুটিতে বাইরে আছেন। তাঁরাই বা এখন কাগজ দেখাবেন কীভাবে?”নদিয়ার দুই নাগরিক এনআরসি নোটিস পেয়েছেন পুজোর পরপর। সেই তথ্য জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুললেন, ”এসআইআরের নামে কেন এনআরসি নোটিস পাঠাল? কোন অধিকারে বাংলার মানুষকে অসম সরকার এই নোটিস পাঠাচ্ছে? সামনে এসআইআর আর পিছনে কী? এনআরসি করবেন গায়ের জোরে? পারবেন না কোনওদিন। এসআইআরের নামে ভোট কাটার ষড়যন্ত্র। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে গৈরিকীকরণের চেষ্টা চলছে।” মমতার সাফ কথা, “একদিকে গোটা বাংলায় দুর্যোগ চলছে। মানুষের দুর্ভোগ চলছে। সামনে আবার কালীপুজো, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো রয়েছে। এবং চারদিকে ডুবে আছে। সেখানে ফিল্ড সার্ভের নাম করে তিনটে অফিসে বসে চারজন অফিসার বিএলও-দের ডেকে থ্রেট করছেন, বলছেন তাঁদের ইচ্ছামতো কাগজ তৈরি করতে হবে।” এরপরই বিহার প্রসঙ্গ টেনে তুলোধনা করেন বিজেপির। তীব্র কটাক্ষের সুরে বলেন, “বিহারে করতে পেরেছিলেন কারণ ওখানে বিজেপি সরকার আছে। কিন্তু বাংলা সামথিং ডিফারেন্ট। বাংলায় অনেক সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, তফসিলি জাতি, উপজাতি আছে।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal