দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কুমোরটুলির ট্রলি-কাণ্ডে দুই অপরাধীকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল বারাসত আদালত। ঘটনার ২৫১ দিনের মাথায়, সোমবার এই সাজা শোনান বারাসত আদালতের সপ্তম ADJ প্রজ্ঞা গার্গী ভট্টাচার্য (হোসেন)। সুমিতা ঘোষকে খুন করে ট্রলি ব্যাগে ভরে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা আরতি ঘোষ। তাদের দোষী সাব্যস্ত করে সোমবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রমাণ লোপাটের জন্য সাত বছর কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিল আদালত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মহিলার মৃতদেহ ট্রলিব্যাগ বন্দি করে কলকাতার গঙ্গার ঘাটে ফেলতে গিয়েছিল মা ও মেয়ে। কলকাতার উত্তর বন্দর থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় তারা। তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে উঠে আসে একের এক চাঞ্চল্যক তথ্য। জানা যায়, বিবাহবিচ্ছেদের পর সুমিতা অসমে তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। মৃতার ভাইপোর সঙ্গে বিয়ে হয় ফাল্গুনী ঘোষের। বিয়ের কয়েকমাস পরই ঝামেলা করে শ্বশুর বাড়ি থেকে মা অনিতার কাছে চলে আসে ফাল্গুনী। মা ও মেয়ে থাকত মধ্যমগ্রামের দক্ষিণ বীরেশপল্লী এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে। মা ও মেয়েকে গ্রেফতারের পর একাধিক তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন তদন্তকারীরা। খুনে ব্যবহৃত ছুরিও বাড়ির সামনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। নির্দিষ্ট সময় চার্জশিটও পেশ করা হয় আদালতে। আট মাসের মধ্যে শেষ হয় বিচারপ্রক্রিয়া। গত শুক্রবার মধ্যমগ্রামের হাড়হিম করা ট্রলি কাণ্ডে মা আরতি ঘোষ ও মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে বারাসত আদালত। এদিন তাদের সাজা শোনানো হল।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal