প্রসেনজিৎ ধর :- বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে গেরুয়া ঝড় | ২০০র বেশি আসনে এগিয়ে এনডিএ, অনেকটা পিছিয়ে মহাগটবন্ধন। ফলাফলের ট্রেন্ডেই স্পষ্ট, বিহারে ফের ক্ষমতায় আসছে এনডিএ জোট। বিহারের ফল কার্যত স্পষ্ট হতেই বাংলা দখলের হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। বলে দিলেন, ‘বিহারে জিতছি। এ বার আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ।’ তৃণমূল অবশ্য বিজেপিকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, বিহারে আগেই জিতেছিল। নতুন কিছু করেনি।বছর ঘুরলেই বাংলায় ভোট। বিজেপিও পাখির চোখ ঠিক করে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কথাতেও সেই ইঙ্গিত মিলল। বিহার ভোটের প্রাথমিক ট্রেন্ড স্পষ্ট হতেই তিনি বলে দিলেন, ‘বিহার জিতছি। এ বার আমাদের লক্ষ্য বাংলা। আগামী বছরে আমরা বাংলাতেও জিতব।’ এখানেই থামেননি গিরিরাজ। মহাগঠবন্ধনকে তোপ দেগে বলে দেন, ‘বিহার ঠিক করে নিয়েছে, অরাজকতার সরকার হতে দেওয়া যাবে না। তাই এটা উন্নয়নের জয়।’কার্যত একই সুর বঙ্গ বিজেপির নেতাদের গলায়। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “বিহারে এসআইআর না হলেও বিজেপি সাফল্যের সঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে আগে। এর কারণ, উন্নয়ন, ভয়মুক্ত বিহার ও ভোটার লিস্ট শুদ্ধিকরণ। তৃণমূল বলছে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। সেটা কী করে সম্ভব? আসলে ওদের চিন্তা বাংলাদেশি, রোহিঙ্গাদের নিয়ে। ওরা জানে এদের নাম বাদ গেলে ওরা খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে।”যদিও গিরিরাজ সিং -সহ বিজেপি নেতাদের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পালটা দিয়ে বলেন, “ওটা বিহারের সমীকরণ। বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। বাংলায় প্রভাব পড়বে না। বাংলায় উন্নয়ন, ঐক্য, সম্প্রীতি, অধিকার, আত্মসম্মান ফ্যাক্টর। ২৫০+ আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, “বিহার দেখিয়ে বাংলাকে হুমকি দিয়ে বিজেপির যে নেতারা বিবৃতি দিচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন, তাঁরা অকারণ সময় নষ্ট করছেন। বাংলার মানুষের অধিকার, আত্মসম্মানকে আঘাত করে, শুধু অন্য রাজ্য দেখিয়ে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। এখানে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা। বিহার-সহ বহু রাজ্য তাঁর উন্নয়নের মডেল ফলোও করছেন। বাংলার মানুষ সার্বিক স্বার্থেই তৃণমূলকে সমর্থন করেন এবং করবেন।” তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর কথায়, “ওদের রুখতে যা পরিকাঠামো প্রয়োজন, কংগ্রেস তা তৈরি করতে পারেনি। ওদের হারাতে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সফল। তা ওরা বারবার প্রমাণ করেছে। ভোটচুরিটা আটকাতে হয় ভোটের সময়। যেটা তৃণমূল পেরেছে। কংগ্রেস সেটা পারেনি, ওদের সেই পরিকাঠামো নেই। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে দেশে একমাত্র ভরসাযোগ্য মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal