নিজস্ব সংবাদদাতা :-কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য ঘিরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও তৃণমূল সাংসদের বাগযুদ্ধ যেন চলছে। দু’পক্ষই এখন প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন একে অপরকে; আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারিও আসছে দু’ দিক থেকেই | শনিবার চুঁচুড়ার তৃণমূল সভামঞ্চ থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ। অভিযোগ, “রাজ্যপাল রাজভবনে বসে বিজেপির ক্রিমিনালদের ডাকছেন। সবাইকে বন্দুক-বোমা দিচ্ছেন।” এই মন্তব্য রাত পেরোনোর আগেই কড়া সুরে প্রতিক্রিয়া জানায় রাজভবন। বিবৃতিতে রাজ্যপালের দফতর জানায়— রাজভবন ‘খোলা’, যে কেউ স্বচক্ষে তদন্ত করতে পারেন। পাশাপাশি কল্যাণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চেয়ে আবেদনও জানান রাজ্যপাল। সতর্ক করে দেন, অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণ হলে সাংসদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।রাজভবন থেকে বন্দুক, বোমা সরবরাহ করা হচ্ছে! শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের এবার পালটা পদক্ষেপ রাজভবনের। আজ, রবিবার সকাল থেকে খুলে দেওয়া হল রাজভবনের সিংহ দুয়ার। সাংসদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক মিলিয়ে ১০০ জনের জন্য রাজভবন খুলে দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, সাংসদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজভবন থেকে কড়া বিবৃতিও জারি করা হয়েছে।কল্যাণের ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের মানহানির সমান বলেই দাবি করেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, এর বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেই নিয়েও রাজভবনের তরফে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেই সাংবাদিকদের জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কথায়, ‘কোনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে এমন মন্তব্য ফৌজদারি অপরাধের সমান। আমি রাজভবনকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে এই নিয়ে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁরা জানেন, কীভাবে এই বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। আর পুলিশ যদি তাঁদের কাজ না করেন, তা হলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal