নিজস্ব সংবাদদাতা :- মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। শুধু একা হাসিনা নন, একই সাজা হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানেরও। সাজা ঘোষণার পরই এ বার তাঁদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করল সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সাজাপ্রাপ্ত দুই ‘পলাতককে’ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করা হল। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে মনে করাল প্রত্যর্পণ চুক্তির কথাও |বাংলাদেশে জনতা-ছাত্র অভ্যুত্থানের পর গত ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তাঁকে ভারতের কাছ থেকে হস্তান্তরের আর্জি জানিয়ে নয়া দিল্লিকে বার্তা দিয়েছে ঢাকা, বলে দাবি বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের। আবেদনে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ইউনুস, সরকার মনে করিয়েছে প্রত্যর্পণ চুক্তির কথাও! এই খবরের মাঝেই, নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের দফতর একটি বিবৃতি জারি করে। ভারতের তরফে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ঘিরে সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে,’ ভারত নজর রেখেছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের তরফে শেখ হাসিনাকে দেওয়া রায়ের দিকে। ভারত, বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ , যার মধ্যে রয়েছে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতা।’বিবৃতির শেষে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ভারত সরকারকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় প্রত্যর্পণ চুক্তির কথা। বলা হয়, ‘দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে’ এটি ভারতের অবশ্যই পালন করা দায়িত্ব।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal