প্রসেনজিৎ ধর :- বীরভূমে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনেই চরমে উঠল তৃণমূলের কোন্দল। সাংসদের সামনেই দলের একাংশের হাতে বেধড়ক মার খেলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। আর এই দ্বন্দ্বের নেপথ্য়েও সেই অনুব্রত মণ্ডল বনাম কাজল শেখ গোষ্ঠীর লড়াই। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে এর আগেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর সামনে এসেছে। কিছুদিন আগেই অনুব্রতপন্থীদের সঙ্গে কাজল অনুগামীদের মধ্যে বিস্তর অশান্তি হয়েছে। এবার আবারও এই দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। এদিন সাংসদ শতাব্দী রায়ের এসআইআর-এর ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা ছিল। তখনই তাঁর সামনেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি|স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদী ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে তাঁরই দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বলরামকে গাড়িতে চাপিয়ে সাংসদ এলাকা ছেড়ে বেড়িয়ে যান। আক্রান্ত হন বলরামের ভাইও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলের ওপর গোষ্ঠীর প্রশ্ন, কেন সাংসদ অঞ্চল সভাপতিকে এত গুরুত্ব দেন? উল্লেখ্য, বলরাম বাগদী অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই। সামান্য অশান্তি হয়েছে। এলাকার তৃণমূল নেতা বলেন, “একটা বড় পরিবারে অনেক কিছুই হতে পারে। দাদা ভাইয়ের মধ্যে অশান্তি হতেই পারে। কিন্তু ওটা মিটে গিয়েছে। ওটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই।” এদিকে, এই মারধরের নেপথ্যে সিপিএম-বিজেপি ঘাড়ে দায় ঠেলেছেন সাংসদ। সাংসদ বলেন, “যে মারধর করেছেন, সে এবার সিপিএমের বিএলএ ২। তাহলে সেভাবে কীভাবে আমাদের কর্মীদের ভিড়ে মিশল? ওই লোকগুলো আধা সিপিএম। তাহলে তো মারামারি হবেই।” তবে তিনি এও বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো আছেই, থাকবেই। তবে এই লোকগুলো মিশে থাকলে তো এরকম হবেই।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal