প্রসেনজিৎ ধর :- বনগাঁ পুরসভার ছয় কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে হামলার অভিযোগ উঠল। বুধবার রাতের অন্ধকারে তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে, গালিগালাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেছেন, এটা আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। বিজেপিও একই অভিযোগ করেছে। যদিও তৃণমূল সে কথা মানেনি। যে কাউন্সিলরদের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে, তাঁদের নিয়ে বৃহস্পতিবার থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বালা ঠাকুর।বুধবার রাতে প্রথম হামলা হয় বনগাঁ পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শিখা ঘোষ ও তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতি উত্তম ঘোষের বাড়িতে। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির সামনে ইট ছোড়া হয়। গালিগালাজও করে একদল মদ্যপ যুবক। সিসিটিভিও ভাঙচুর করা হয়। কাউন্সিলর শিখা ঘোষের স্বামী উত্তম ঘোষ জানান, “প্রায় শতাধিক বাইক বাহিনী বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। গালিগালাজ করে ইট ছোড়া হয়। হামলায় সিসি ক্যামেরাও ভেঙে দেওয়া হয়।” পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও দেরিতে আসে বলেই অভিযোগ।এরপর একে একে বনগাঁ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিপালী বিশ্বাসের বাড়িতেও দুষ্কৃতী হামলা চলে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল শর্মিলা দাস বৈরাগীর বাড়িতে দুষ্কৃতীরা ৬ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বন্দনা কীর্তনীয়া ও বন্দনা মুন্সির বাড়ির সামনেও বোমাবাজি হয় বলেই অভিযোগ।সাংসদ মমতা এই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানান, বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ফেসবুক লাইভ করে দাবি করেছেন, বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে যাঁরা সমর্থন করেনি, সেই কাউন্সিলরদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বনগাঁর মানুষ রাস্তায় নামবেন।গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ মানতে নারাজ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ। তাঁর দাবি, বিরোধীদের মদতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal