Breaking News

কৃষ্ণনগরের BLO-র মৃত্যুতে কমিশনকে কড়া ভাষায় তোপ মমতার!SIR ইস্যুতে কমিশনে বিস্ফোরক তৃণমূল প্রতিনিধিরা

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। বিএলও-মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী সরব হওয়ার মধ্যেই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে এসআইআর নিয়ে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিএলওদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি, দুই বছরের কাজ দুই মাসে করার চেষ্টা করছে কমিশন, সেই অভিযোগও এদিন করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।বিএলও-সহ একাধিক সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে কমিশনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটও ভুল তথ্যে ভরা বলে দাবি করা হয়েছে কমিশনের তরফে। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পর এবার কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তাঁরা কমিশনের দফতরে দিল স্মারকলিপি জমা। অরূপ বিশ্বাস বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৩৪ জন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের জন্যয়। প্রত্যেকটা বুথে ইচ্ছাকৃতভাবে, কোনও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কথায় নির্বাচন কমিশন ১৫০-২০০ নাম বাদ দিয়েছে। যে নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার লিস্টের হার্ড কপি যখন দেখা হচ্ছে, তাতে সেই নামগুলো রয়েছে।”রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। এই আবহে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। শনিবার সকালেই সুইসাইড নোটে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে কৃষ্ণনগরে ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন এক বিএলও। এখনও অবধি এসআইআরের কাজের চাপে তিন বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে এসআইআর স্থগিতের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তার ২ দিনের মাথায় শনিবার সিইও দফতরে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ পার্থ ভৌমিক-সহ অন্যান্যরা। সিইও-র সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে ক্ষোভ উগরে দেন নেতারা। তৃণমূলের অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।একধাপ এগিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, ‘নির্বাচন কমিশনের তথ্যে কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিএলও-দের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে বিএলও অ্যাপে সমস্যা, তথ্যে ভুল, অ্যাপ ক্র্যাশ করছে, এগুলো মানা যায় না।’ তাঁর আশঙ্কা, প্রতি ৫ জনের মধ্যে অন্তত ৪ জন বিএলও-রই নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে হাজির হওয়ার সম্ভাবনা। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত ডেডলাইন স্থগিত রাখা হোক-এমন দাবি ফের করেছেন তাঁরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *