দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বহাল ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এই রায়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| বুধবার মালদহ সফর শেষে মুর্শিদাবাদে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় নিয়ে বলেন, ‘কোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমার ভাই-বোনরা তাঁদের চাকরি ফিরে পেয়েছেন, সেজন্য খুশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক দিক থেকে এই রায় দেওয়া হয়েছে, সেজন্য আমি খুশি। শিক্ষকরা চাকরি ফিরে পেয়েছেন, তাঁদের পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে, সেজন্য আমি আনন্দিত। কথায় কথায় কোর্টে গিয়ে চাকরি খেয়ে নেওয়া, সেটা তো ঠিক নয়। আমাদের তো কাজ চাকরি দেওয়া।’ তৃণমূল সাংসদ তথা এই মামলার অন্যতম আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, এই রায়ের ফলে অনেক সত্যি সামনে এল। চাকরি খারিজ হওয়ার রায় আসলে পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১২ মে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার শিক্ষকেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে শিক্ষকদের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, ‘সেই রায় পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। এই রায় দিয়েই তো তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন। তিনি তো প্রচার চাইতেন। বিচারকের কাজ বিচার করা। যেটা কঠিন। সেটা ঠিকমতো না করে প্রচারে আসতেন।’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া চলতেই পারে। এই ৩২ হাজার চাকরিতে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না তা প্রমাণ করতে পারেনি কেউ। শুধু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতি হয়েছে দাবি করে চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন। এটা ওঁর মনগড়া কথা। প্রমাণ ছাড়া বলেছিলেন। রাজনৈতিক কারণে করেছিলেন। সেটা তো ভুল। এটা কোনওদিন কাম্য নয়। কারও এভাবে বিচার করা ঠিক হবে না।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal