প্রসেনজিৎ ধর :- ‘আপনি তো গোটা ভারতের মেয়ে | সারা বাংলা আপনাকে পাশে চেয়েছিল | কিন্তু আপনি একজনেরই পিসি হয়ে রয়ে গেলেন | রাজ্যবাসীর ভাল-মন্দের খেয়াল রাখলেন না | শুধু ভাইপোর চাহিদা পূরণ করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন কেন?”ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে খানিক মশকরা করেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে এইভাবে বিঁধলেন মোদি | তাঁর মন্তব্যে ঘুরেফিরে বারবার উঠে এল কালোবাজারি, তোলাবাজি, তোষণের প্রসঙ্গ | বিজেপিকে বহিরাগত বলে নিশানা করছে তৃণমূল | প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বাংলাকে বহিরাগতরা শাসন করবে না|’ এ দিন মোদী দাবি করেন, বিজেপি বহিরাগত নয় ,’বিজেপিকে বহিরাগত বলছেন! আপনারা বলুন, কংগ্রেস কে তৈরি করেছিল? বামপন্থীরা এত বছর শাসন করেছে এখানে | মার্ক্স, লেনিনের আদর্শ বহিরাগত না বাংলার? তৃণমূলও তো কংগ্রেস থেকে তৈরি হয়েছিল | বিজেপির স্থাপনার মূলেই বাংলা | বাংলার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শে তৈরি হয়েছে এই দল | বাংলার গন্ধ লেগে রয়েছে। বাংলার সংস্কৃতির বিজেপিতে | বিজেপির ডিএনএ-তে বাংলা| বাংলার কাছে ঋণী বিজেপি |এই ঋণশোধ করতে পারব ন|পদ্মফুলে বাংলার মাটির গন্ধ রয়েছে| ‘ই-স্কুটার চালিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি মোদি, “দিদি, আপনি ই-স্কুটিতে চেপেছিলেন | সবাই আপনার মঙ্গল কামনা করছিল | কোনও চোট যেন আপনার না লাগে | তাহলে তো আবার যে রাজ্যে স্কুটিটি তৈরি হয়েছে, তাকেই শত্রু বানিয়ে বসতেন |” তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “এত রাগ কেন দিদি? কথায় কথায় গাল দেওয়া | দৈত্য, গুন্ডা, কী না বলেন |”বাংলা যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল, তা পূরণ হয়নি বলেই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সুর চড়ান মোদি |