প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- একশো দিনের কাজ নিয়ে আবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এক বছর কেটে গিয়েছে। তার পরে কেন্দ্রের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে একশো দিনের কাজ নিয়ে বেশ কিছু শর্ত চাপানো হয়েছে বলে কোচবিহারের সভা থেকে দাবি করেন মমতা। কেন্দ্র কী কী শর্তের কথা বলেছে, তার কয়েকটি উল্লেখ করে মমতা স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘আমরা এই শর্ত মানি না। একশো দিনের কাজ বাংলাই করবে।’’ তার পরেই একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্র যা বলেছে, তা যে কাগজে লিখে এনেছিলেন, সেটা সভামঞ্চেই ছিঁড়ে ফেলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়| ১০০ দিনের কাজের অর্থ আটকে রাখার ইস্যুতে আরও ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল নেত্রী। অভিযোগ করে বলেন, “দেশে আমরা সেরা ছিলাম বলেই ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা— সব বন্ধ করে দিয়েছে। শুধুমাত্র ১০০ দিনের কাজেই ৫১ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা পাইনি। ভোটের মুখে আবার কিছু টাকা দিয়ে বলবে— এই তো দিলাম! পরে বলবে— কাজ হয়নি, তাই টাকা ফেরত নিলাম।” সভার মাঝেই কেন্দ্রের পাঠানো একটি চিঠি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের পরও ওরা টাকা আটকে রেখেছে। আবার প্রায় এক বছর পর পাঠানো চিঠিতে অসম্ভব সব শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে |মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, “বলছে. ৬ ডিসেম্বর থেকে কোয়ার্টারলি লেবার বাজেট দেখাতে হবে— সময় কোথায়? ডিসেম্বর চলে গেল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। একটি গ্রামসভায় নাকি ১০ জন কাজ পাবে! এক পরিবারেই তো ১০ জন থাকে! আবার বলছে ট্রেনিং দিতে হবে। কবে দেব? কবে কাজ করাবে? এরপরই কাগজটি উঁচিয়ে ধরে বলেন, “এই অর্ডারের কোনও ভ্যালু নেই। এটা ভ্যালুলেস। বাংলার মানুষ ভিক্ষে চায় না। তোমাদের অর্ডারকে ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছি।” পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটি কেন্দ্রের নির্দেশ নয়, তাঁর ব্যক্তিগত নোট। “আমি মনে করি, এটা বাংলার প্রতি অপমান।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal