দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- যুবভারতী কেলেঙ্কারি নিয়ে সোমবার রাতেই নবান্নের কাছে জমা পড়েছে তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট। সেই সঙ্গে প্রাথমিক সুপারিশও। তারপরের দিনই যুবভারতী কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তা, অর্থাৎ ডিজিপি রাজীব কুমারকে শো কজ করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমারকেও শো কজ করা হয়েছে। শনিবার ফুটবল তারকা লিয়োনেল মেসির অনুষ্ঠানে কেন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তার জবাব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে তাঁদের। পাশাপাশি, বিধাননগর পুলিশের ডিসি অনীশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হল ডিসিপি অনীশ সরকারকে |ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ কুমার সিংহকেও শোকজ করা হয়েছে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সিইও দেবকুমার নন্দনকেও অপসারণ করা হয়েছে পদ থেকে। মুখ্যসচিব মনোজের দফতরের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে এই নির্দেশ জানানো হয়েছে।নবান্ন সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই এই শোকজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডিসিপিকে সাসপেন্ড রাখা উচিত। এছাড়াও, যুবভারতীর ঘটনায় দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে রাজ্য ক্রীড়া দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ কুমারকেও শোকজ করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার একাধিক স্তরে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়েছে তদন্তে।অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রশ্ন তুলেছিল পুলিশ এবং ক্রীড়া দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে। সেই সুপারিশ মেনেই পদক্ষেপ করল রাজ্য। সেই সঙ্গে চার সদস্যের সিটও গঠন করা হয়েছে। রয়েছেন এডিজি জাভেদ শামিম, দক্ষিণবঙ্গের ডিজি সুপ্রতিম সরকার, কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা এবং আইপিএস পীযূষ পাণ্ডে। উল্লেখ্য, যুবভারতীতে ভাঙচুরের পরেই গ্রেফতার করা হয় অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal