নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা :- এসআইআর এর শুনানি পরর্বের প্রথম দিনই কমিশনের অফিসে হাজির তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, মলয় ঘটক, অরূপ বিশ্বাস, মানুষ ভূঁইয়া। মূলত এসআইআর প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগত বিষগুলির উপর প্রশ্ন তুলে অভিযোগ জানাতে উপস্থিত হন কমিশন দফতরে। এর আগেও দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে মূখ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার রাজ্যে শুনানি পর্বের প্রথম দিনই কমিশনের দফতরে হাজির হয়ে অভিযোগ জানাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন কমিশনে গিয়ে তাদের অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেন তারা। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান এসআইআর নিয়ে মানুষের মনে ভয় ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তাই মানুষের স্বার্থে এসেছেন তাঁরা। গনতন্ত্র বজায় রাখতে যে কাজ করা উচিৎ তা করা হচ্ছে না। অন্য রাজ্যে হলেও বাংলার ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশন বিপরীত কাজ করছে । তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের অভিযোগ , যারা দূরে থাকেন তাদের নাম ইচ্ছা করে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ এত অল্পদিনে যারা দূরে থাকেন তাঁরা আসতে পারবেন না। শাসকদলের অভিযোগ একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এসআইআর এর সার্ভের কাজ কারনো হচ্ছে, যে সংস্থাটি একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করে। ফর্ম ৬, ৭, ৮ এগুলি কার কাছে জমা দেবে সাধারণ মানুষ, কারণ বিএলও সব সময় বসছেন না, ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। এই সমস্ত প্রশ্ন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সিইও-র কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, যারা জবাব তারা চান । তবে সিইও জানিয়েছেন তৃণমূলের দাবি সম্বলিত চিঠি তিনি জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। অরূপ বিশ্বাস জানান “কেন্দ্রীয় সরকার ভোটার ঠিক করে দিচ্ছে । যাদের নাম বাদ গেছে অর্থাৎ যে ৫৫ লক্ষ-এর নাম বাদ গেল সেটা পাবলিক ডোমেনে দিচ্ছে না কেনো ?” BLO app কাজ করছে না সেখানে ভোটারদের তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না।সিইও মনোজ কুমার -এর কি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অরূপ। রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণা হওয়ার পরেই কাজের চাপ-সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিএলওরা। কলকাতায় সিইও দপ্তরের বাইরে রীতিমতো অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’। শুধু তাই নয়, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন নতুন করে উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয় সিইও দপ্তরের বাইরে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দপ্তরের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেন বিএলওরা। যা নিয়ে একেবারে রণক্ষেত্র আকার নেয়। কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও আগেই নিরাপত্তা বাড়ানোর আবেদন কমিশনের তরফে জানানো হয়।এরপরেই আজ শনিবারই তাৎপর্যপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা সিইও দপ্তরে যান। ঘুরে দেখেন গোটা অফিস। পাশাপাশি আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। শুধু তাই নয়, খুব শীঘ্রই নতুন দপ্তরে পরিবর্তন হচ্ছে সিইও দপ্তর। সেই অফিসও এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা পরিদর্শন করেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এক সেকশন বাহিনী সিইও দপ্তরে মোতায়েন করা হচ্ছে। ওয়াই ক্যাটাগরির আওতায় প্রত্যেকদিন চার থেকে পাঁচ জনের এক একটি দল সিইও দপ্তরের বাইরের নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সিইও মনোজ আগরওয়ালের নিরাপত্তাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে খবর|
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal