দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, বাংলায় তৈরি হবে ‘দুর্গা অঙ্গন’। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। এক কোটি মানুষ দেখতে গিয়েছেন দিঘার সেই মন্দির। এবার বাংলায় আরও শিলান্যাস হল দুর্গা অঙ্গনের। এই মন্দির তৈরি হচ্ছে কলকাতা শহরের একেবারে উপকন্ঠে। দিঘার মতোই এই মন্দির তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিডকোকেই। সেই দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাস করে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”৩৬৫ দিনই মা দুর্গার পুজো হবে এখানে, নিত্য আঙিনা হবে। ৩৬৫ দিনই মা দুর্গাকে দেখতে পাবেন সকলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অনেক কর্মসংস্থান হবে। প্রচুর দোকান হবে। এটার নকশা তৈরি হয়েছে, জগন্নাথ ধামও তারা তৈরি করেছেন। আশা করি তারা কাজটা ভালো করবেন।”ছাব্বিশের ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ‘হিন্দুত্বে’ জোর দিচ্ছেন বলে বিরোধীরা যে রব তুলেছিলেন, তারও জবাব দিলেন তিনি। বললেন, ”আমি সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। সব ধর্মের সব অনুষ্ঠানে থাকি। কারণ, আমি মনে করি ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। জানেন এই দুর্গা অঙ্গন কেন তৈরি হচ্ছে? যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের বলি। ইউনেস্কো আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোকে কালচারাল হেরিটেজের তকমা দিয়েছে। তাদের স্বীকৃতিকে সম্মান জানাতে এই দুর্গা অঙ্গন তৈরি করা হল। সারাবছর এখানে মা দুর্গার নিত্যপুজো হবে।”এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ”আজকের দিনটা একটা ঐতিহাসিক দিন। আজকে বলতে পারেন বাংলার মুকুটে একটা পালক যুক্ত হল। দুর্গাঙ্গন করার কারণ কী? আমরা যে সম্মান পেয়েছি ইউনেস্কোর থেকে, আগে যে জমিটা আমরা পেয়েছিলাম সেটা ১২ একর ছিল। আমি বললাম একটু ভাল জায়গা দেখো। বললাম পার্কিং, কালচারাল সেন্টার দরকার। এই জায়গা ১৭. ২৮ একর। অনেক বড় জায়গা। মানুষের আসার পক্ষে সুবিধা হবে।”একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”মহাকাল মন্দির হয়ে গেলে সব হয়ে যাবে। গঙ্গাসাগর ব্রিজের জন্য আমরা অপেক্ষা করেছিলাম কেন্দ্রের অপেক্ষায়। কিন্তু এল না। আমরা গঙ্গাসাগর ব্রিজ তৈরি করছি। ১৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি ৫ তারিখ শিলান্যাস করতে যাচ্ছি। টেন্ডার হয়ে গেছে।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal