প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- বিধানসভা ভোটের আগে ফের বড় ধাক্কা ঘাসফুল শিবিরে| বিজেপিতে যোগ দিলেন সিঙ্গুরের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা সাতগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক সোনালি গুহ, বিদায়ী বিধায়ক জটু লাহিড়ী, ফুটবলার তথা বিদায়ী বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী,সরলা মুর্মু | সোমবারের দুপুরে হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা নিলেন তাঁরা |
ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী | কেউ তৃণমূলের প্রার্থী হতে না পেরে, কেউ আবার পছন্দমতো আসনে লড়াইয়ের সুযোগ না পেয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী ছিলেন সোনালি গুহ | সাতগাছিয়ার বিধায়ককে এবার প্রার্থী করেননি তৃণমূল নেত্রী | ক্ষোভ গোপন রাখেননি সোনালি | সোনালি এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে এলেন | অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল,সেই জল্পনা সত্যি হল |মন মতো আসনে দাঁড়াতে না পেয়ে দল ছাড়লেন হবিবপুরের বিদায়ী বিধায়ক সরলা মুর্মু | তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জেলা পরিষদের ১৪ জন সদস্য | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, আশির ঊর্ধ্বে কাউকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না | বাদ পড়েন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি | তাঁরা এ দিন নাম লেখালেন বিজেপিতে|
বসিরহাটের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসকে এবার আর প্রার্থী করেনি তৃণমূল | দীপেন্দু বলেন, “সব সময়েই দলের জন্য খেটে এসেছি| তারপরও কেন বাদ দেওয়া হল জানি না | কোনও সমস্যাও দলের সঙ্গে হয়নি |” দিপুন্দে জানান, হাবড়ার বিধয়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ফোন করেছিলেন | কিন্তু, “ততক্ষণে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি”, বলেন দীপেন্দু| তৃণমূলের ছেড়ে দেওয়া আরও একঝাঁক বিধায়কদের পেয়ে ভোটের আগে যেন ভরে উঠল বিজেপির ঘর |