প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- এসআইআরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরই দেখা গিয়েছে নাম নেই বহু মতুয়ার। স্বাভাবিকভাবেই নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্কে তাঁরা। আন্দোলনের পথে হেঁটেছে মতুয়াদের একাংশ। মঙ্গলবার কলকাতার সাংবাদিক বৈঠকে ওপার বাংলা থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের আশ্বস্ত করলেন অমিত শাহ । সাফ জানালেন, “মতুয়াদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। কেউ ওদের ক্ষতি করতে পারবে না। যারা শরণার্থী হয়ে বাংলায় এসেছে। তাঁদের সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।”২০২৬ এর এপ্রিল মাসে বাংলায় ভোট হবে। কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করলেন অমিত শাহ। এমনকি কোন সমীকরণে ছাব্বিশের ভোটে বিপুল সংখ্যক আসনে জয় পেয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, সেই অঙ্কও বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রতিপক্ষ তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শাহ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সুশাসন আনতে বদ্ধপরিকর, পশ্চিমবঙ্গে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি।”এদিনের ভাষণে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালে বাংলায় বিজেপির রাজনৈতিক যাত্রাপথ তুলে ধরেন অমিত শাহ। তিনি জানান, ২০১৪-র ভোটে ১৭ শতাংশ ভোট, ২ টি আসন পায় বিজেপি। ২০২৬ বিধানসভায় ১০ শতাংশ, ৩ আসন। ২০১৯ লোকসভায় তা বেড়ে হয় ৪১ শতাংশ, ১৮ আসন। ২০২১-এর বিধানসভা ৩৮ শতাংশ এবং ৭৭টি আসন । ২০২৪ সালে ৩৯ শতাংশ ভোট এবং ১২ আসন। শাহের দাবি, ২০২৬ সালে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ‘সিন্ডিকেট’ নিয়ে খোঁচা দেন অমিত শাহ। দাবি করেন, “২০২৬ সালের ১৫ এপ্রিল বিজেপি সরকার গঠন করার পরে বঙ্গ গৌরব, বঙ্গ সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ ঘটবে। শাহের কথায়, “স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমবাবু, গুরুদেব এবং শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্নের বাংলা বানাব।”এদিন বাংলায় অনুপ্রবেশ নিয়ে কড়া বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলার সীমান্ত দিয়ে যে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তা শুধু বাংলার বিষয় নয়। পুরো দেশের নিরাপত্তার বিষয়। এমন মজবুত সরকার এখানে আনুন, যারা এখানে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে। শুধু মানুষ না একটি পাখিও যেন বাংলায় ঢুকতে না পারে।”
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal