সঞ্জয় কাঁপরি, পূর্ব মেদিনীপুর :-‘ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম’ | নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে প্রথম কর্মীসভা থেকে বার্তা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের |মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিলেন, সেফ সিটের খোঁজে নয়, মানুষের ভালবাসার টানেই নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি |
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বটতলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে কর্মীসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আমার তো ঘরের কেন্দ্র ছিল ভবানীপুর | আমাকে তো কিছুই করতে হত না | আমি তো ওখানেই থাকি | কিন্তু, আমি যেদিন শেষ এসেছিলাম, তখন নন্দীগ্রাম আসনটা খালি ছিল | তখন কিন্তু এখানে কোনও বিধায়ক ছিল না | তাই আমি তখন দেখতে চেয়েছিলাম এখানকার মানুষ আমাকে চায় কিনা | তেখালির সভা থেকে আপনাদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেছিলাম, আমি যদি এখানে প্রার্থী হই কেমন হয়? সেদিন মানুষের ভালবাসা আমাকে টেনে এনেছে | আপনাদের সেই ভালবাসা, সেই সাহস, সেই উদ্দীপনা, মা বোনেদের উৎসাহ আমাকে এখানে প্রার্থী হতে উৎসাহ দিয়েছে | আমার দু’চোখে শুধু নন্দীগ্রাম |’নন্দীগ্রাম- মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রকে চায়, বহিরাগতকে নয় |’
মঙ্গলবার মমতার নির্বাচনী সভার আগে এরকমই কিছু পোস্টার পড়েছিল নন্দীগ্রামে | এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে বললেন, ‘কেউ কেউ বলছে, আমি নাকি বহিরাগত | আমি বাংলার মেয়ে বহিরাগত হয়ে গেলাম? আর তুমি দিল্লির লোক, বহিরাগত হলে না? তোমার বাড়ি মেদিনীপুর, আর আমার বাড়ি বীরভূম, এটাই তো পার্থক্য|’নিজের প্রার্থী হওয়ার রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন,”গ্রামের দিকে আমার একটা টান বরাবরই আছে | আমার এবার মাথায় ছিল, আমি হয় সিঙ্গুর, না হয় নন্দীগ্রামে দাঁড়াব | কারণ এই দুটো হল আন্দোলনের পীঠস্থান |” মঙ্গলবার আরও একবার তৃণমূল কর্মীদের কাছে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে নেন মমতা | বলেন, “যদি আপনারা মনে করেন আমার দাঁড়ানো উচিত নয়, তাহলে কাল আমি মনোনয়ন দেব না | যদি আপনারা মনে করেন, আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে, তাহলেই আমি মনোনয়ন দেব | আপনারা বলুন কাল মনোনয়ন দেব তো?” দর্শকাসন থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছেন মমতা|পাশাপাশি নাম না করে সাম্প্রদায়িক ইস্যু নিয়ে বিজেপি কে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |