অভিষেক সাহা, মালদহ:- আসন্ন নির্বাচনের আগে ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে বিজেপি তৃণমূল বাগবিতন্ডা। নতুন বছর আসতে না আসতেই দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি পর্ব নিতে শুরু করে দিয়েছে। আর এবার ভোট পর্বের প্রস্তুতির মাঝে সাংসদের উপস্থিতিতে প্রায় ১০০ জন সংখ্যালঘু যোগ দিলেন বিজেপিতে। অন্যদিকে আবার পাশের এলাকাতে আরেকটি যোগদান কর্মসূচিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে সাংসদ এবং বিজেপি নেতারা। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে গেলেও এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে অন্য দলের কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করছে এমন খবর মিলেছিল। এমনকি কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী। এরমাঝেই মালদা জেলার চাঁচল বিধানসভার খরবা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় হাই স্কুল ময়দানে বিজেপির একটি যোগদান কর্মসূচি হয়। উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু, জেলা সম্পাদক রতন দাস, মালদা জেলা সম্পাদক এবং যোগদান প্রমুখ দীপঙ্কর রাম, বিজেপি নেতা কাজল গোস্বামী, সুভাষ কৃষ্ণ গোস্বামী সহ অন্যানরাও ছিলেন এদিনের কর্মসূচিতে। আর এই কর্মসূচিতেই প্রায় তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেসেরও প্রায় ১০০ জন সংখ্যালঘু যুবক বিজেপিতে যোগ দেন।
তবে ওই দিনই পাশের কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নুরগঞ্জ গ্রামেও বিজেপির আরো একটি যোগদান কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সেখানেই বাঁধে আসল গোলযোগ। শোনা গিয়েছে ওই কর্মসূচীতে ঢুকতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল|যোগদানকারীরা জানান তৃণমূল সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে না, তাই তারা বিজেপিতে যোগ দিতে চান। আবার অন্যদিকে তৃণমূলের পালটা দাবী ওই এলাকায় বিজেপির কোন দল নেই সবটাই ভুয়ো।