নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়ি:- ভোট বঙ্গে রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত| সোমবার জলপাইগুড়ির দুটি পৃথক জায়গায় আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মীরা | দুটি ঘটনাতেই অভিযোগ তৃণমূলের দিকে | প্রথম ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির পাদ্রীকুঠি এলাকায় | স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পাদ্রী কুঠি এলাকায় বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে হোলি খেলার সময় এই ঘটনা ঘটে|বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর দাবি, অতর্কিতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা| বিজেপি কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলারও অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে | ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে বিজেপি কর্মীর কান কেটে নেওয়ার অভিযোগও উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে |আহত বিজেপি কর্মীকে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে | তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা | গোটা ঘটনার পিছনে শাসকদলের নেতা কৃষ্ণ দাস ও প্রধান হেমব্রমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির | তৃণমূলের পক্ষ থেকে যদিও বিজেপির যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রধান হেমব্রমের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে| ইতিমধ্যে ১০ জন তৃণমূল নেতার নামে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি | অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি |
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির ব্রহ্মতল পাড়ায় পতাকা লাগানোর সময় রবি রায় নামে ২৫ বছরের এক বিজেপি কর্মীর মাথায় লাঠির বাড়ি মারে তৃণমূল বলে অভিযোগ | ঘটনায় তাঁর মাথা ফেটে যায় | জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মাথায় ১৮টি সেলাই পড়েছে তাঁর |এই ঘটনাতেও থানা অভিযোগ দায়ের হয়েছে | দুটি ঘটনারই তদন্তে নেমেছে পুলিশ |