প্রসেনজিৎ ধর,কলকাতা :- শীতলকুচি নিয়ে বরাহনগরের সভা থেকে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল | দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোরও আবেদন করা হয়েছে ওই চিঠিতে প্রসঙ্গত,কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজ্যনীতি| চতুর্থ দফা ভোটের দিন ঘটে যাওয়া ওই মর্মান্তিক ঘটনাকে ইতিমধ্যেই ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | নিশানা করছেন বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে | তারপরই রবিবার বরাহনগরের সভা থেকে সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ বলেন , ‘‘আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচি দেখেছে কী হচ্ছে |জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে |” ভোটের মাঝে কী করে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এহেন মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই | বিষয়টি নিয়ে জোর কদমে আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূলও | তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে | চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘দিলীপের এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে বিজেপি-র ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সিআরপিএফ | যিনি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি-র একজন তারকা প্রচারক, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইন্ধনও রয়েছে এই ঘটনায়| দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের একেবারে পরিপন্থী | এই মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করবে ও ভোটদান প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে |’ সেই কারণেই দিলীপের বিরুদ্ধে কমিশনকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছে তৃণমূল | তাতে আর্জি জানানো হয়েছে, শেষ চার দফায় দিলীপ ঘোষের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক|একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার আর্জিও জানানো হয় | কমিশনের কাছে রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, বিজেপি নেতাদের অঙ্গুলিহেলনেই গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী | যদিও তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনও কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি|