নিজস্ব সংবাদদাতা:- ক্রমেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে বাংলার শাসক দল, তারমাঝেই প্রতিদিন বেসুরো ছন্দে নতুন ইস্যু তুলে ধরছেন তৃণমূলের একাধিক নেতানেত্রীরা। আসন্ন ভোট নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সেই লড়াইয়ে প্রতিদিনই একধাপ করে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির।কারণ এক এক করে বহু নেতা নেত্রীই এই দলে নাম লিখিয়েছিলেন। আর দিন এগোতাই আরো বাড়ছে দলের সদস্য সংখ্যা।
কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দান করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই জল্পনা শুরু হয়েছিল বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে। কারণ দু দিন আগেই তিনি একটি পোস্ট করেছিলেন যেখানে তিনি দলের প্রতি খানিক ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সময় এগোতেই তিনি আবার নিজেকে সামলেও নেন। গতকাই আবার পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমাকে কয়েকজন প্রশ্ন করছিলেন, কেন এলাকার বহু কর্মসূচিতে আমাকে দেখা যাচ্ছে না। অথচ আমি তো চাই এলাকার মানুষের পাশে থাকতে। বেশ কিছু অসুবিধা ছিল, চেষ্টা করছি সব বাধা টপকে এলাকায় সবসময় থাকার। বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম আপনাদের। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল পরিবারের প্রিয় নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। আমি সমস্যার জায়গাগুলি জানিয়েছি। তিনিও শুনেছেন এবং আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা ইতিবাচক। সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী।” আর এই সমস্যা কাটতে না কাটতেই এবার হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন দল যেভাবে চলছে তাতে তিনি একেবারেই সন্তুষ্ট নন। তিনি জানান তাঁকে না জানিয়েই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেমন লক্ষ্মীরতন শুক্লা হাওড়া শহর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি হয়েছিলেন। অথচ সেটা নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। কিন্তু পুরো ঘটনাটিই ইতিমধ্যে সময় দিয়ে সামলে নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সব ঠিক হলেও অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে যা দহরম মহরম চলছে তা থেকে বলা মুশকিল এই দলকে আর কতদিন এভাবে সামলে রাখা সম্ভব। কিন্তু তারমাঝেও ইতিবাচক সুর নিয়েই আপাতত চলছে তৃণমূলের ভোটের কাজ।