বাবলু প্রামানিক :- বিজেপি একটা সার্কাস পার্টির দল। যার যখন মনে হচ্ছে তখনই সে জোকার সেজে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছে।রবিবার বিকালে ক্যানিং রেলমাঠে এক বিশাল জনসভায় তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী।তিনি আরো বলেন এই সমস্ত বিজেপি কর্মীদের আটকাতে হবে।২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কে বাংলা ছাড়া করতে হবে।
যে বিজেপি পদ্মের কুঁড়ি ফোটাতে পারেনি। তারা আবার বড় মুখে বলছে বাংলায় পদ্ম ফুটবে।মনে রাখবেন বাংলার মানুষ বোকা নয়। পদ্ম ফোটার আগেই এই বাংলার মাটিতে পদ্মের সলিল সমাধি ঘটবে বিধানসভা নির্বাচনে। তাছাড়া সাথে আছে জনতা,আবারও তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা। ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একক ভাবে ২২১ এর ও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে ।রাজ্যের স্কুল কলেজ খোলার বিষয়ে এদিন জনসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী বলেন সমস্ত স্কুল কলেজ গুলিকে অবিলম্বে স্যানিটাইজড করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কবে স্কুল কলেজ খুলবে তা পরে সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে।মেদনীপুরের জনসভায় শিশির অধিকারী না আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন পায়ে ব্যাথা তাই তিনি আসতে পারেন নি।অন্যদিকে অর্ণব রায় বিজেপি যোগ দেওয়ায় তিনি বলেন কে এলো আর কে গেল তাতে তৃণমূল কংগ্রসের কিছু যায় আসে না। এদিন ক্যানিং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি পরেশ রাম দাসের উদ্যোগে ক্যানিং রেল মাঠে জনসভা হলেও ক্যানিং ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী এবং ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল উপস্থিত ছিলেন না। আর এই অনুপস্থিতি ঘিরে তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা।পাশাপাশি ক্যানিং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি অর্ণব রায় তৃণমূল ছেড়ে রবিবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আগামী দিনে তৃণমূলের অনেক রথী মহারথী ও বিজেপিতে পা বাড়াতে চলেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপির বাড় বাড়ন্তে এবং দলীয় চোরা স্রোতে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিলীন হয়ে যেতে হবে শাসক দলকে। এমনই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।