নিজস্ব সংবাদদাতা :- ‘আমি খুব খুশি যে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি কর্মী হিসেবে যে কাজটা করে এসেছি এবং করছি সেটাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল।’ দলে নতুন দায়িত্ব পেয়ে রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ উচ্ছসিত শোনা গেল শতাব্দী রায়ের কথায় | তৃণমূলে বিদ্রোহের তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ শতাব্দী রায়ও | তৃণমূলে তাঁর সমস্যা জানানোর পরই কাজ হয়েছে, সাম্প্রতিক রদবদলে শতাব্দী রায়কে রাজ্য কমিটির সহ সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে |
দিন তিনেক আগেই ফেসবুকে তাঁর ফ্যান ক্লাবের তরফ থেকে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন শতাব্দী | এর পরই শতাব্দী সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন | অবশ্য তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুর বদল হয় শতাব্দীর।শতাব্দীর মান ভঞ্জনে তৎপরতার সঙ্গে ভূমিকা নিতে দেখা যায় তৃণমূলকে। গত শুক্রবার সৌগত রায় থেকে শুরু করে ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা ফোন করেন ক্ষুব্ধ শতাব্দীকে,কুণাল ঘোষ তাঁর বাড়িতেও পৌঁছে যান। শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বিদ্রোহে ইতি টানতেই মিলল বড় পদ | তাঁর সেই সুর বদলেই শতাব্দী দলে নতুন পদ পেলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল | দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে পুরস্কৃত বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে কি তৃণমূল কংগ্রেসে আটকে রাখতে পারবে? সেই প্রশ্নের উত্তর সময়ই বলবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের |