প্রসেনজিৎ ধর :- রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই চারিদিক থেকে হিংসার খবর সামনে আসছে | এমনকী নিজেদের গড়েও কর্মীদের সেভাবে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন বিজেপি নেতারা বলে অভিযোগ | এবার সেই ব্যর্থতা ঢাকতে ইস্তফা দেওয়ার কথা শোনা গেল বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গলায় | সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ফল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপির ৬ জন কর্মী খুন হয়েছেন | এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয় | রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির কর্মীদের উপর হামলার খবর প্রকাশ্যে এসেছে | এছাড়াও ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শ্যামনগরে এক বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্জুন সিংহ | বিজেপি সাংসদ বলেন, গোটা রাজ্যে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মারা হচ্ছে | ফলপ্রকাশ হওয়ার পর চারিদিকে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে | আমরা ১৮ জন সাংসদ আর ৭৭ জন বিধায়ক আছি | এই অবস্থায় আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি না | এরপর বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, “আমার হিসেবে এত জনপ্রিতিনিধি থাকার পরেও আমরা যদি মানুষকে নিরাপত্তা না দিতে পারি, তাহলে আমাদের সবার উচিৎ পদত্যাগ করা | এরাজ্যে গণতন্ত্র নেই | চারিদিকে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে| রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট, আসলে নিজের এলাকাতেই সংগঠন সামলাতে পারছেন না দাপুটে অর্জুন সিং | একমাত্র ভাটপাড়ায় ছেলে পবন সিং জেতায় বিজেপির মুখরক্ষা হয়েছে | এছাড়া নোয়াপাড়া, জগদ্দল, নৈহাটির মতো শক্ত গেরুয়া ঘাঁটিতেও পদ্ম ফোটেনি | এমনকী বীজপুর কেন্দ্র থেকে মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশুও জিততে পারেননি | এর জন্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে মুখ পুড়েছে অর্জুনেরই | সবমিলিয়ে এবার নিজের দায় ঝেড়ে ফেলতে তাই ইস্তফার ভাবনা অর্জুন সিংয়ের | কিন্তু তাতেই কি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব শেষ করে ফেলা সম্ভব? এই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে |