সৌমিত্র গাঙ্গুলি, আসানসোল :- মর্মান্তিক ঘটনা | রেল কর্মীকে এলোপাথাড়ি গুলি গাড়িতেই উদ্ধার হল দেহ | শনিবার আসানসোল চিত্তরঞ্জনের কর্নেল সিং পার্কের কাছে গাড়ির ভিতর থেকে রেলকর্মী আনন্দ কুমার ভাটের (৪৫) গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় | রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অনুমান | পরপর ৬ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হল ওই রেলকর্মীকে | ঘটনা ঘিরে শনিবার সকাল থেকে চাঞ্চল্য চিত্তরঞ্জনে | যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে পুলিশ ও আরপিএফ | জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে কর্নেল সিং পার্ক এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের রেলকর্মী আনন্দ কুমার ভাট | চিত্তরঞ্জনের ৫৩ নং রোডের বাসিন্দা ছিলেন আনন্দ | তিনি রেল কারখানার মেন শপের চাকরি করতেন | ছিলেন প্রাইভেট টিউটরও | এছাড়া তাঁর গাড়ির ব্যবসা ছিল বলে জানা গিয়েছে| সেই বিষয়ে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে কারও সঙ্গে বিবাদ থেকে এই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ | সকালে গাড়ির মধ্যেই তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় | চিত্তরঞ্জনের কর্নেল সিং পার্কের কাছে আনন্দ কুমার ভাটের গুলিবিদ্ধ দেহ পড়েছিল গাড়ির মধ্যই | পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রাতে গাড়ি চালিয়ে ফেরার সময়েই দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় | আনন্দের শরীর ৬,৭ টি গুলি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গেছে | সাদা রঙের যে দামি গাড়িতে তাঁর দেহটি পাওয়া যায়, সেই গাড়ির মালিক আনন্দ নিজেই | জানা গিয়েছে, ওই গাড়িটি রেলের অফিসে ভাড়া খাটে | আনন্দ ভাটের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিত্তরঞ্জন থানায় | ঝাড়খন্ড লাগোয়া রেল শহর চিত্তরঞ্জন একেবারেই আরপিএফের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকে |
শহরটিতে আংশিক লকডাউনও চলছে | এর মধ্যে এমন ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে| পুলিশ ও আরপিএফ যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে | কী কারণে তাঁর উপর এই প্রাণঘাতী হামলা, তার দ্রুত কিনারা করতে তৎপর তাঁরা | তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই খবর |