নিজস্ব সংবাদদাতা:- গতকাল ভোটের আগেই তেখালির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিতে গতকালই তিনি জানান, এবার নন্দীগ্রাম থেকে তিনি নিজেই ভোটে লড়বেন৷ অন্যদিকে জননেত্রীর এই ঘোষণায় হেরে যাওয়ার পাত্র নন শুভেন্দু অধিকারীও। গতকাল দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুও দাবি করেছেন, অন্তত ‘হাফ লাখ’ ভোটে মমতাকে না হারাতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন৷ এসবের মাঝেই ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু জানান দিলেন তিনিও ভোট ময়দানে লড়ার জন্য রেডি।
সোমবার রাতে শুভেন্দু ট্যুইট করেছেন, “স্বাগতম দিদি, ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম৷ এবার নন্দীগ্রামে সামনা-সামনি দেখা হবে৷” আসন্ন নির্বাচন আসতেই ক্রমে প্রকট হচ্ছিল তৃণমূলের ভাঙন, কিন্তু গতকাল অন্য সুরে গলা উঁচিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দল নিয়ে একদিকে যখন টালমাটাল অবস্থা তখনও মমতার চোখে সাফ দেখা গিয়েছে জেতার ভাব ভঙ্গি। গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “নন্দীগ্রাম আমার জন্য লাকি জায়গা। আজ নন্দীগ্রাম থেকে আমি ঘোষণা করছি, ২০২১-এ তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হল জেতার পালা। প্রতি সিটেই তৃণমূল জয়লাভ করবে।” আর এই ঘটনার পর গত রাত থেকেই বাংলার রাজনীতিতে ফের শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেও মনে হচ্ছিল তৃণমূলের হয়তো এবার জেতার আশা নেই, কিন্তু এই ঘোষণার পর সাফ বোঝা গিয়েছে তৃণমূলও জেতার রাস্তা খুঁজতে শিরোহস্ত। প্রসঙ্গত, শুভেন্দুকে বাদ দিয়েই নন্দীগ্রাম দখল করতে মরিয়া তৃণমূল৷ তবে শুভেন্দুও পাল্টা নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন কি না সে সিদ্ধান্ত নেবেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ অন্যদিকে তাঁকে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী না করলে যে শাসক দল তাঁকে আক্রমণের নতুন অস্ত্র পেয়ে যাবে, শুভেন্দু নিজেও সেটা ভাল করেই জানেন৷